শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এই বাজেট উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখবে: প্রধানমন্ত্রী

এই বাজেট উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখবে: প্রধানমন্ত্রী

 

সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার পূরণের এক কার্যকর মাধ্যম হবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পেশকৃত জনবান্ধব উন্নয়নমুখী, ও সুষম এই বাজেটটি। এই বাজেট উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের মানুষ তারা একটা উন্নত ও সুন্দর জীবন চায়। আমরা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ গড়ব। আপনাদের সবাইকে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করলাম।

শনিবার দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনার ওপর সমাপনী বক্তৃতায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা রূপকল্প ২০২১ সফলভাবে বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেছি। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এসডিজি উন্নয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে এবং আমাদের দেয়া নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার পূরণের এক কার্যকর মাধ্যম হবে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পেশকৃত জনবান্ধব উন্নয়নমুখী, ও সুষম এ বাজেটটি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেট আলোচনায় অনেক সদস্যরা অনেক কথা বলেছেন, সেগুলো সব আমার কাছে ছিল। আমি মনে করি, আমার বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের সেই কথাগুলো এবং তার জবাব তারা মোটামুটিভাবে পেয়ে গেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বাজেট পেশ করলাম। এটা আমাদের প্রথম বাজেট। এই বাজেট আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের একটি ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে, এটাই আমাদের প্রত্যয়। এই বাজেই এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম। তিনি এখনো অসুস্থ। কারণ তার ডেঙ্গু হয়েছে, খুব বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পাচ্ছেন না, তবুও তিনি কষ্ট করে এসেছেন। এবারে যেহেতু ঈদ পড়ে গিয়েছিল। কাজেই জুন মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ জুন আমরা বাজেট পেশ করেছি। ১৩ জুন থেকে আজকে ২৯ জুন। এই অল্প সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখে একটা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি আশা করি, বাংলাদেশের মানুষ তারা একটা উন্নত জীবন চায়। সুন্দর জীবন চায়। তাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ, আমরা গড়ব। এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়াও বাজেট বক্ততায় প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা পুর্ণব্যক্ত করেন সংসদ নেতা। তারুণ্যের শক্তিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য নানা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির কথা এই বাজেটে বলা হয়েছে, সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সমাপণী আলোচনায় বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সরকারি ও বিরোধী দলের এমপিরা বক্তব্য রাখেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই