
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এর আংশিক উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৭ অক্টোবর এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এখানে যাত্রী চলাচলে সময় লাগবে আরো এক বছর।
সোমবার থার্ড টার্মিনালের প্রস্তুতির সবশেষ অবস্থা জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। সুবিশাল টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ। ব্যাগেজ স্ক্যানিং, বোর্ডিং ব্রিজ করা, চেক ইন কাউন্টার এবং কিছু চলাচল ব্যবস্থার কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ৮৯ শতাংশ কাজ শেষ। ৭ অক্টোবরের আগেই ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হবে।
এপ্রোনের কাজ শেষের দিকে। দুয়েকদিনের মধ্যেই এখানে বিমান পার্কিং করা হবে জানিয়ে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান বলেন, এরই মধ্যে রানওয়ের সঙ্গেও সংযোগ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অটোমেটিক রোবোটিক সমৃদ্ধ কার্গো টার্মিনাল করা হয়েছে। পাশাপাশি যাতায়াত সহজ করতে মাল্টিপল ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া হজ ক্যাম্প থেকে সরাসরি টানেল নির্মাণে সেনাবাহিনীকে কাজ দেয়া হয়েছে। সফট ওপেনিংয়ের পর বাকি ১০ শতাংশ কাজের মধ্যে সব ইন্টেরিয়র কাজ উল্লেখ করে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান জানান, থার্ড টার্মিনালের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে আরো এক বছর সময় লাগবে। তিনি বলেন, এখানে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি একসঙ্গে পার্কিং করতে পারবে। সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান বলেন, সফট ওপেনিংয়ের পর বিমানবন্দরের অবকাঠামোসহ অন্যান্য বিষয় সিভিল এভিয়েশন বুঝে নেবে। এছাড়া আকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সিভিল এভিয়েশন সার্বিক কাজ করে যাচ্ছে।
এ টার্মিনাল নির্মাণ শেষে বেশি পরিমাণ বিমান যাতায়াত শুরু হলে বিমানের ভাড়া কমে আসবে মন্তব্য করে তিনি জানান, এতে দেশের এভিয়েশন খাতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। সরকারের বড় একটি অর্জন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) তথ্য অনুযায়ী, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন প্রতিদিন ১২০-১৩০টি বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। ১৯ থেকে ২১ হাজার যাত্রী প্রতিদিন বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল (টার্মিনাল ১ ও ২) ব্যবহার করেন। এখানে বর্তমানে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেয়ার সুযোগ আছে।
২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ শুরু হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। ৩ তলা এ টার্মিনালের আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। এতে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপার্চার ও ৬৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ৪০টি স্ক্যানিং মেশিন, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১১টি বডি স্ক্যানার ও ১৬টি ক্যারোসেল থাকবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ