শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যের আড়ালে উঁকি দিচ্ছে পর্যটনের সম্ভাবনা

বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যের আড়ালে উঁকি দিচ্ছে পর্যটনের সম্ভাবনা

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের আড়ালে উঁকি দিচ্ছে পর্যটনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। বিশ্বের অন্য দেশ ঘুরতে যাওয়া ১৬ কোটি চীনা পর্যটকের মাত্র কয়েক শতাংশ আকৃষ্ট করতে পারলে জিডিপিতে পর্যটনের অবদান বাড়বে বলে আশা বিশ্লেষকদের। 

চীনা পর্যটকদের আকর্ষণে বুদ্ধিস্ট হেরিটেজ সম্পর্কে প্রচারণা এবং তাদের চাহিদা বুঝে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করারও পরামর্শ তাদের। দেড়শ' কোটি মানুষের দেশ চীন থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে যান অন্তত ১৫ কোটি মানুষ। নেপাল, ভুটান, ভারত বা সিংগাপুরেই শুধু নয়, এক থাইল্যান্ডেই বছরে যান এক কোটির বেশি চীনা পর্যটক। বাংলাদেশেও আসেন হাজার বিশেক চীনা নাগরিক। এশিয়ার অন্য দেশ ঘুরতে যাওয়া চীনের পর্যটক আকর্ষণে কাঙ্খিত পরিবেশ তৈরির তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। 

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, চীন ঘুরতে যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ২০১৯ সালের হিসাবে, এক লাখ ১৩ হাজার ৮শ বাংলাদেশি চীন ভ্রমন করেছে চীন। বিপরীতে চীন থেকে আসা দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশই বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশে আসে। এ অবস্থায় চীনা পর্যটক টানতে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজের। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের কাউন্সিলর লিওন ইউ জানিয়েছেন, সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ থেকে সুন্দরবনসহ বাংলার সবুজ প্রকৃতি দেখতে তার দেশের নাগরিকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। গেলো ৯ মাসে চীনে পড়তে যাওয়া ৪৬০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দেয়ার পাশাপাশি পর্যটন ভিসাও সহজ করার কথা জানালেন দেশটির কাউন্সিলর। 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ