মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত্যুশয্যায় প্রসূতি, হেলিকপ্টারে হাসপাতালে নিল সেনাবাহিনী

মৃত্যুশয্যায় প্রসূতি, হেলিকপ্টারে হাসপাতালে নিল সেনাবাহিনী

কখনও নিরাপত্তা দিয়ে, কখনওবা উদ্ধার করে আবার কখনও দুর্গম এলাকায় খাবার, পানি ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে, এমনকি দেশের চরম পরিস্থিতিতেও এগিয়ে এসে নিজেদের অনেকবার প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এমন অসংখ্য প্রতিদানের মধ্যে এবার দুর্গম এলাকার এক প্রসূতি নারীকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে এসে নজির গড়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর এমন দায়িত্বশীলতায় বেঁচে গিয়েছে দুটি প্রাণ। 

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত বগাখালী গ্রাম। সেই গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক প্রসূতি নারী জিতনি তংচঙ্গ্যার (২৩) হঠাৎ প্রসব ব্যাথা শুরু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে ডাকা হয়েছিল ধাত্রী ও ওঝাকে। কিন্তু চারদিন ধরে ধাত্রী তার প্রসব করাতে ব্যর্থ হয়। এদিকে কাছাকাছি কোনো হাসপাতাল না থাকায় এক পর্যায়ে তাকে বাঁচানো অসম্ভব বলেই ধরে নিয়েছিল তার পরিবার। এভাবে চার দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েন তিনি। 

 

জিতনি তংচঙ্গ্যাকে সেনাসদস্যদের সহযোগিতায় হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছে

জিতনি তংচঙ্গ্যাকে সেনাসদস্যদের সহযোগিতায় হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছে

 

গ্রামটি এতটাই প্রত্যন্ত যে, তাকে হাসপাতালে নিতে হলে ঝিরি, নদী ও রাস্তা মিলিয়ে শহরে যেতে প্রায় ৭ দিন লেগে যেত। তাই কোনো উপায় না পেয়ে অবশেষে তাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে প্রাণে বাঁচিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে, বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে সোমবার সকালে জতনিকে বগাখালীর বিজিবির সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যান তার পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এই প্রসূতিকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। দুপুর ২টার দিকে হেলিকপ্টার সেনানিবাসে অবতরণের পর দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে জিতনিকে সিএমএইচে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। জিতনির শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

 

সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এই প্রসূতিকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন

সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এই প্রসূতিকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন

 

জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শান্তিরাজ চাকমা ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকে এই গ্রামে যেতে হলে প্রথমে ইঞ্জিনচালিত বোটে কিছু দূর যাওয়া যায়। এরপর পায়ে হাঁটা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। বগাখালী গ্রাম বা এর আশেপাশে কোথাও ভালো হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নেই। তাই জুরাছড়ি উপজেলায় একটি আধুনিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

সোনাপতি চাকমাকে হেলিকপ্টারে সিএমএইচে নিচ্ছে সেনাবাহিনী

সোনাপতি চাকমাকে হেলিকপ্টারে সিএমএইচে নিচ্ছে সেনাবাহিনী

 

এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর একই গ্রাম থেকে সোনাপতি চাকমা নামে আরো এক প্রসূতিকে হেলিকপ্টারে সিএমএইচে এনে প্রাণ বাঁচায় সেনাবাহিনী। জানা গেছে, সোনাপতিই শুধু নয়, তার মতো দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী অনেক মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বেঁচেছে সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে। এদের মধ্যে রয়েছে- পায়ে পচন ধরা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্য চাথুইমা মারমা, লক্ষ্মীছড়ি থানার পুলিশ কনস্টেবল মংজয় চাকমা প্রমুখ। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দুরছড়ি এলাকায় ডায়রিয়া দেখা দিলে সেনা সদস্যরা মানবিক সহযোগিতা দিয়ে প্রায় ৩০টি পরিবারের সদস্যদের সুস্থ করে তোলে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই