বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর: শিল্পায়নে দিনবদলের হাতছানি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর: শিল্পায়নে দিনবদলের হাতছানি

কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। যার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই, সীতাকুন্ড এবং ফেনী জেলার সোনাগাজীতে অবস্থিত 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর' অন্যতম। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে, শিল্প বিপ্লব ঘটানো, বেকারত্ব হ্রাস সহ দেশবাসীর জন্য নানা সুখবর নিয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। এ বছরের মধ্যেই শেষ হবে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রথম পেইজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ। এমনকি উৎপাদনে যাবে পাঁচটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। কাজের গতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশের সর্ববৃহৎ এ অর্থনৈতিক অঞ্চল দৃশ্যমান হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

এ শিল্পনগরে ইতোমধ্যেই দেশী-বিদেশী প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। বর্তমানে প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বেজা সূত্রে জানা যায়, দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ সরকার পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তন্মধ্যে অগ্রাধিকার হিসেবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। প্রথমে মীরসরাই ইকোনমিক জোন হিসেবে কার্যক্রম শুরু হলেও এর সঙ্গে সীতাকুন্ড ও ফেনীর সোনাগাজী অর্থনৈতিক অঞ্চল যুক্ত হয়ে বিশাল এলাকাজুড়ে এখন শিল্পনগর প্রতিষ্ঠার কর্মযজ্ঞ। তিনটি জোনকে একসঙ্গে নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ভূমি উন্নয়নের পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি দিচ্ছে সরকার। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য আলাদা একটি বন্দর থাকবে, যেটি দিয়ে সহজেই চট্টগ্রাম ও অন্যান্য বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়া করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরণি নামে চার লেনের একটি সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে।

দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে মিরসরাই ইকোনমিক জোন ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশের সব শিল্প গ্রুপের কারখানার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলোর কারখানাও গড়ে উঠবে এ ইকোনমিক জোনে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরোদমে চালু হলে চট্টগ্রাম তথা পুরো বাংলাদেশের চেহারাই পাল্টে যাবে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া বাজারে এক সময়ের পরিত্যক্ত ভূমিতে গড়ে উঠছে এই শিল্পনগর। মীরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল যতই দৃশ্যমান হচ্ছে ততই এলাকাবাসী আশায় বুক বাঁধছে উন্নত জীবযাত্রার। বেকার জনগোষ্ঠী আশায় রয়েছে কর্মসংস্থানের। প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের টার্গেট থাকলেও অর্থনৈতিক অঞ্চল যদি ৩০ হাজার একরে সম্প্রসারিত করা যায় তাহলে সেখানে কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর