নিপীড়কদের আগুনে নিহত নুসরাত জাহান রাফিকে ‘হিরো’ আখ্যা দিলেন নিউইয়র্ক টাইমস-এর কলাম লেখক, দুবার পুলিৎজার বিজয়ী মার্কিন সাংবাদিক নিকোলাস ক্রিস্তফ। ক্রিস্তফ তার ফেসবুক পেজে শুক্রবার এক স্ট্যাটাসে বিবিসিতে নুসরাতকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন শেয়ার করে লেখেন, ‘এই বাংলাদেশি বালিকাটি একজন হিরো’।
তিনি আরো লেখেন, সে অভিযোগ জানিয়েছিল যে তার প্রধান শিক্ষক (অধ্যক্ষ) তাকে নির্যাতন করেছিল, তাকে চাপ দেয়া হয়েছিল তা তুলে নিতে, সে প্রত্যাখ্যান করেছিল- এবং এরপর তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হলো। নিউইয়র্ক টাইমসে এক সময় এশিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা এ সাংবাদিক তার ফেসবুকে আরো লেখেন, অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার সময়, সে যখন মৃত্যু পথযাত্রী, তখন একটি মোবাইলে তার হত্যাকারীদের নাম রেকর্ড করে গিয়েছিল।
এ পর্যন্ত চারটি বইয়ের এই লেখক উল্লেখ, করেন, এটা হলো সেই লিঙ্গীয় নিপীড়নের গল্প যা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল শেরিল উডুনকে নিয়ে ‘হাফ দ্য স্কাই’ লিখতে’। উল্লেখ্য, শেলি উডুন তার স্ত্রী। স্ট্যাটাসের শেষে ক্রিস্তফ নুসরাতের শান্তি কামনা করে তাকে ‘সাহসী নুসরাত’ বলেও অভিহিত করেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। গত ১০ এপ্রিল বুধবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ