শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংকট কাটিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে শতভাগ বই

সংকট কাটিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে শতভাগ বই

সংকট কাটিয়ে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বইপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাগজ ও কালির সংকট, ঊর্ধ্বমুখী দাম, ছাপা সরঞ্জামের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, দুটি শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম ও এনসিটিবির কার্যাদেশে দেরি ইত্যাদি কারণে সময়মতো বই না পেয়ে বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা। বছরের প্রথম দিন পুরো সেট পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের তুলে দেওয়া যায়নি। জানুয়ারি জুড়ে ধাপে ধাপে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বই পাঠানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জ জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান, জেলায় শতভাগ বই শিক্ষার্থীরা পেয়েছে। প্রাথমিকের কয়েকটি বইয়ে প্রাপ্তিতে কিছুটা বিলম্ব হয়। কিন্তু দুদিন আগে প্রাথমিকের বাকি থাকা বইগুলো পৌঁছে গেছে। আরও কয়েকটি জেলায় খোঁজ নিয়ে শতভাগ বই প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে মুন্সিগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় প্রাথমিকের দুই তিনটি বই এখনো পাওয়া যায়নি।

মুন্সীগঞ্জ জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির গনিত বই পাওয়া যায়নি। অন্যসব বই শিক্ষার্থী পেয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে এ দুটি বইও স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এবার ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ জন শিক্ষার্থীকে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ১২ হাজার ৩০০ কপি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। বছরের প্রথম দিন ঘটা করে বই উৎসব হলেও এবার শিক্ষার্থীদের পুরো সেট বই হাতে তুলে দিতে পারেনি। ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিচ্ছে সরকার। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার মোট সংখ্যা ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১ কপি বই বিনামূল্যে বিতরণ করেছে।

দেরিতে দরপত্র প্রক্রিয়া করা, কার্যাদেশে বিলম্ব, কাগজ সংকট, বিদ্যুতের লোডশেডিং এসব কারনে শুরুতেই পাঠ্যবই নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়। বাজারে অব্যবহৃত (ভার্জিন) পাল্পের চরম ঘাটতি দেখা দেয়। এ কারণে ৮৫ শতাংশ উজ্জ্বলতার কাগজ পাওয়া যায়নি। এমনকি পুনঃব্যবহৃত (রিসাইকেল বা পুরোনো কাগজ প্রক্রিয়া করে বানানো) পাল্পেরও ঘাটতি দেখা দেয়। এই সুযোগে পুরোনো কাগজ সরবরাহকারী এবং কাগজ উৎপাদনকারীদের অনেকে সিন্ডিকেট করে ফেলে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এনসিটিবির নমনীয়তা আর কাগজের এই সংকট পুঁজি করে কিছু মুদ্রাকর নিউজপ্রিন্ট আর নিম্নমানের কাগজে বই ছাপিয়েছে। বইয়ের কাগজ, রঙ, বাঁধাই, মলাট সব নিয়েই বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

রাজধানী ঢাকা ও বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, এ বছর স্কুলে ধাপে ধাপে বই দেওয়া হয়। প্রতিটি শ্রেণিতেই তিন চারটি বই দিয়ে বই উৎসব পালন করা হয়। বই এলে শিক্ষার্থীদের হাতে আবার তা পৌঁছে দেওয়া হয়। জানুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহে মাধ্যমিকের বইয়ের সঙ্কট কেটে যায়। তবে প্রাথমিকের বই নিয়ে মাসজুড়েই অনিশ্চয়তা থাকে।

এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শতভাগ বই পৌঁছে গেছে। সময়ের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে এ বছর বইয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। কাগজ সঙ্কট ছিল। প্রাথমিকের দরপত্র দেরিতে দেওয়া হয়। এ জন্য কিছুটা আশঙ্কা থাকলেও তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন যাতে সময়মতো মানসম্মত বই দেওয়া যায়।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই