রাজধানীর অদূরের কেরানীগঞ্জ উপজেলাকে শিশুশ্রমমুক্ত প্রথম মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের অংশীজনরা এ কথা জানান।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-৮ অর্জনে ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম দূরীকরণে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রণীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশকে শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার জন্য পাঁচটি কৌশলগত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হাজেরা খাতুন বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ শিশুশ্রম নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তা সত্ত্বেও, দেশের ৫-১৭ বছর বয়সী ৬.৮% শিশু এখনও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের সাথে জড়িত।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রমমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জাতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে সহিংসতা, অধিকার বঞ্চিত এবং নির্যাতন থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য এই পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব চাইল্ড প্রোটেকশন নাটালি ম্যাককলি বলেছেন, বাংলাদেশকে শিশুশ্রম মুক্ত করতে হলে সামাজিক কর্মকাণ্ডের পরিধি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বাড়াতে হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশুদের তথ্য রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাপক এলিসা ক্যালপোনা বলেন, ২০২২ সালে ইউনিসেফ এবং কারখানা ও স্থাপনার পরিদর্শন বিভাগ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য শিশুশ্রম নির্মূলে কাজ করতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ শিশু শ্রমমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে একটি জাতীয় কমিটি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ