শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই: বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই: বিশ্বব্যাংক

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই বলে সুখবর দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপ বাংলাদেশকে এই সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি।

খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে নিয়ে এই তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কবলে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ মূল্যস্ফীতির তোপে পড়লেও বাংলাদেশ সুবিধাজনক জায়গায় আছে। ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি হয়নি। তবে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাত মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মূলত খাদ্য ঘাটতিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছে সংস্থাটি।

খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। তবে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ও নেপালে বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতি দেখা যায়নি। পাকিস্তানে সারের অভাব এবং তাপপ্রবাহের কারণে গম ও চালের উৎপাদন কম হয়েছে। ভুটান এবং শ্রীলঙ্কা অভ্যন্তরীণ খাদ্য সরবরাহে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি অনুভব করছে। শ্রীলঙ্কায় সারের ঘাটতির কারণে কৃষি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে এবং খাদ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার অভাব রয়েছে। সার ও জ্বালানির (জমি প্রস্তুতি, পরিবহন এবং ফসল সংগ্রহের কার্যক্রমের জন্য) অভাব খাদ্য সরবরাহকে আরও সীমিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশে উঠেছে। পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ। বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই সূচকটি সে তুলনায় অনেক কম, এক অঙ্কের ঘরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তার উদ্বেগ মোকাবিলায় চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে। এ ছাড়া কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে, সারে ভর্তুকি বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

এ ক্ষেত্রে ভারতও স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দেশটি ৪৪ হাজার টন ইউরিয়ার প্রথম চালান পেয়েছে। ভারতীয় চালের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন।

আর ভুটানে সরকার পাইকারি বিক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে প্রত্যক্ষভাবে এবং রেয়াতি কাজের মূলধনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী মজুত করছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই