বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির তুলনামূলক অবস্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। শ্রীলঙ্কার মোট ঋণ ৩৩ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু দেশটির মোট জনসংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ, সে হিসাবে শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ এক হাজার ৬৫০ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশের মোট ঋণ ৪৯.৪৫ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৩ লাখ, সে হিসাবে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ২৯২.১১ ডলার। বাংলাদেশের চেয়ে শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ প্রায় ছয় গুণ বেশি। করোনা মহামারিতে শ্রীলঙ্কার রেমিট্যান্স পৌঁছেছে তলানিতে। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশটির রেমিট্যান্স ছিল ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা শ্রীলঙ্কার চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি।
রপ্তানি আয় কমে যাওয়াকে বিশেষজ্ঞরা এই সংকটের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার রপ্তানি আয় ৮.৫ বিলিয়ন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৮.৭৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশের রপ্তানি আয় শ্রীলঙ্কার চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। মার্চ ২০২২ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার রিজার্ভের পরিমাণ দুই বিলিয়ন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৪৪.৪০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ শ্রীলঙ্কার চেয়ে ২২ গুণ বেশি। ‘অর্গানিক কৃষি’ চালুর কারণে শ্রীলঙ্কার কৃষিজ উত্পাদন কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রমেই খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ দানাদার খাদ্য, মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এ ছাড়া চাল উত্পাদনেও এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ