শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ২১ স্থানে হবে মহাসমাবেশ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ২১ স্থানে হবে মহাসমাবেশ

স্বাধীনতার  সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশের ২১টি স্থানে মহাসমাবেশের মাধ্যমে ‘পথে পথে বিজয়’ উদযাপন করা হবে। আগামী ২৬ নভেম্বর দিনাজপুরে উপ-আঞ্চলিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ আয়োজন শুরু হবে। যার মধ্যে ৭টি আঞ্চলিক ও ১৪টি উপ-আঞ্চলিক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব অঞ্চল ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর আগেই পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয়।

বুধবার মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মোজাম্মেল হক বলেন, এ বছর আমরা জাতীয়ভাবে উদযাপন করছি মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি তথা সুবর্ণজয়ন্তী। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী  যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে উদযাপনের জন্য গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি  ৫০টি জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে একটি কর্মসূচি হলো ‘পথে পথে বিজয়’ শিরোনামে দেশের বিভিন্ন স্থানে শত্রুমুক্ত হওয়ার দিনে আঞ্চলিক মহাসমাবেশ।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বছর ২০২১ সাল। এই গুরুত্বপূর্ণ মাহেন্দ্রক্ষণ আমাদের প্রত্যেকেরই উদযাপন করা উচিত। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় অর্জন করেছিল, কিন্তু দেশের অনেক অঞ্চলে বিজয় এসেছিল ১৬ ডিসেম্বরের আগেই, হয়েছিল শত্রুমুক্ত। সেভাবেই আমাদের প্রথম বিজয় আসে পঞ্চগড়ে, নভেম্বরের ২৯ তারিখে এবং সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড়কে শত্রুমুক্ত অঞ্চল (মুক্তাঞ্চল) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে আরো অনেক অঞ্চলও শত্রুমুক্ত হওয়া শুরু হয়। আমরা এই বিজয়গুলো উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের কাছে এই শত্রুমুক্ত অঞ্চলগুলোর তাৎপর্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

মন্ত্রী বলেন, মহাসমাবেশগুলো শহরের প্রাণকেন্দ্রে যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, ছাত্র-ছাত্রীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবে এমন উন্মুক্ত স্থানে এ অনুষ্ঠিত হবে। মহাসমাবেশে বিভিন্ন কার্যক্রম প্রদর্শনী, খেলা, কুইজ, আলোচনা, সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণসহ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য সব শ্রেণিপেশার মানুষ এ আঞ্চলিক মহাসমাবেশে অংশ নেবেন।

৭টি আঞ্চলিক ও ১৪টি উপ-আঞ্চলিক মহাসমাবেশ করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- বিজয়ের গল্পগুলো পুনরায় বলা, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে পুনরায় জানা এবং সম্মান প্রদর্শন করা, যুদ্ধের অসাধারণ গল্পগুলো উপভোগ করা, তরুণদের যুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, সবাইকে এই বিজয় দিবসের বিশালতা উপলব্ধি করা,  মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশব্যাপী উদযাপন করা।

আঞ্চলিক মহাসমাবেশের স্থান ও সময় পঞ্চগড়ে ২ ডিসেম্বর, যশোরে ৬ ডিসেম্বর, গোপালগঞ্জে ৭ ডিসেম্বর, কুমিল্লায় ৮ ডিসেম্বর, জামালপুরে ১১ ডিসেম্বর, কক্সবাজারে ১২ ডিসেম্বর এবং সিলেটে ১৫ ডিসেম্বর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এমপি, বাণিজ্য সচিব ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই