জাতিসংঘের অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জাতিসংঘের আগামী অধিবেশনে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। একই সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলকে নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর অধীনে তাদের পুনর্বাসনের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এ আহ্বান জানান বক্তারা। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান বক্তা- ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নরুল ইসলাম ঠান্ডু, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফজলুল হকসহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতারা।

নরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষার্থে মানবিক দিক বিবেচনা করে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তাই বলে তাদের সারাজীবন আশ্রয় দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাদের কারণে দেশ আজ সামাজিক নিরাপত্তার হুমকিতে। দেশের অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য জাতিসংঘের জোড়ালো পদক্ষেপের আহ্বান জানান।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘের আগামী অধিবেশনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য পৃথক প্রস্তাব এনে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। 

অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক বলেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গারা সমাবেশ করে ঘোষণা দিয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ফিরে যাবে না। এটা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি ডেকে আনতে পারে।

তিনি বলেন, দেশে এ পর্যন্ত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে। সেখানে দেড় লাখ নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। প্রতিবছর আরো এতো সংখ্যক শিশু জন্ম নেবে। এ ছাড়া তাদের কারণে আমাদের অর্থনীতি, পরিবেশ, জলবায়ু, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এভাবে তাদের দায় আর নেয়া সম্ভব নয়। জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ জানাতে চাই রোহিঙ্গাদের যেন দ্রুত ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ ক্ষেত্রে রাশিয়া, চীন, ভারত বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে।

বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তারা আশ্রয় নিয়ে এ দেশের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করছে। কিছু এনজিও সংগঠন ও দেশের একটি কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে নানা ধরনের অপরাধ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাদের কর্মকাণ্ডে দেশ নিরাপত্তা হুমকির মুখে।