রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে বুধবার ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট- ৩ : সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ’ বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি অপসারণ করে সেখানে তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হচ্ছে- মিয়ানমারের এমন দাবি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আমাদের শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার সময় ঘরবাড়ির কথা ভাবা হয়নি। ফিরে এসে নিজেরাই ঘরবাড়ি তৈরি করে নিয়েছেন তারা।
তিনি আরো বলেন, আমরা যখন ভারত থেকে আসি তখন দেখি ঘরবাড়ি নেই। পাক আর্মিরা সব ভেঙে ফেলেছে। আমরা ভারত থেকে নিজেদের লোকদের ফেরত আনার সময় চিন্তা করিনি ঘরবাড়ি আছে কি নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যখন বাংলাদেশে আসে তখন কিন্তু ঘরবাড়ির চিন্তা করেনি। যখন রোহিঙ্গাদের যাওয়া শুরু হবে তারা গিয়ে ঠিকই ঘরবাড়ি তৈরি করবে। না গেলে কীভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করবে?
তবে মিয়ানমার আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নন জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমার নিশ্চয় কোনো অ্যারেঞ্জমেন্ট করবে। বারবার আমাদের কাছে ওয়াদা করেছে মিয়ানমার।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ