শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদেশি দুম্বা-ছাগল পালনে আনোয়ারের সাফল্য

বিদেশি দুম্বা-ছাগল পালনে আনোয়ারের সাফল্য

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পাথুরিয়া গ্রামে বিদেশি দুম্বা, ছাগল ও গাড়লের খামার করে সাফল্য পেয়েছেন আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবক। লাভজনক হওয়ায় তিনি দিন দিন খামারের পরিধি বাড়াচ্ছেন। এ ধরনের প্রাণী পালনের বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ পরামর্শও নিচ্ছেন।

গুরুদাসপুর উপজেলার পাথুরিয়া গ্রামে বাড়ির পাশেই ফাঁকা জমিতে খামার গড়ে তুলেছেন আনোয়ার হোসেন। ৪টি ছাগল দিয়ে খামার শুরু করলেও বর্তমানে সেখানে ১৫টি দুম্বা, ৩৩টি পাঁঠা, ২২২টি ছাগল ও ৩২টি গাড়ল আছে। প্রতিবছর ৪০০ থেকে ৫০০টি ছাগল, দুম্বা ও গাড়ল বিক্রি হয় এ খামার থেকে। খামারে ভারতের তোতাপুরি, হরিয়ানা, পাকিস্তানি বিটল ও সংকর জাতের ছাগল এবং পাকিস্তানের দুম্বা ও ভারতের গাড়ল আছে। রাজস্থান থেকে আনার পর খামারে ছাগলগুলোকে কৃত্রিমভাবে প্রজনন করানো হয়। চার থেকে সাড়ে চার মাস পর বিক্রি শুরু হয়। দেশজুড়ে ক্রেতা রয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে ছাগল দেখে কিনতে পারেন ক্রেতারা।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই ছাগল পালনে আগ্রহ তাঁর। ২০০০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে ছাগল পালন শুরু করেন। এর সাত-আট বছর পর রাজস্থানের ছাগলের সন্ধান পান। শুরু করেন রাজস্থান থেকে ছাগল আমদানি। পরে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে খামারে বাড়তে থাকে ছাগলের সংখ্যা। লাভজনক হওয়ায় গড়ে তোলেন বাণিজ্যিক খামার। পাশাপাশি চালিয়ে যান পড়াশোনা। নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এখন তাঁর লক্ষ্য খামারের পরিধি বৃদ্ধি।

আনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশ থেকে তাঁর মুঠোফোনে কল আসে। মেসেঞ্জার, ইমোতে ছাগল দেখাতে হয়। অনেকে ছাগলের রোগবালাই সম্পর্কে পরামর্শ চান। তিনিও সহায়তা করেন। তিনি জানান, তাঁর ছাগলগুলোকে মেশিনে খড় কেটে অ্যাংকর ভুসি মিশিয়ে লবণ–পানি দিয়ে খেতে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাঁঠালগাছের পাতা ও উন্নত জাতের ঘাস খেতে দেওয়া হয়।

লালন-পালনের বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাণীগুলোর রোগবালাই খুব কম হয়। প্রতিদিন একটি পশু ২৫ থেকে ৩০ টাকার খাবার খায়। দুম্বা-গাড়ল কাঁচা ঘাস খায়। সময়মতো প্রতিষেধক দিলে ঠিকমতো বেড়ে ওঠে। প্রতিটি দুম্বা বছরে দুটি করে বাচ্চা দেয়। ৩ মাসে ১টি বাচ্চার ওজন হয় ৩৫ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত, যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ লাখ টাকা।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন একজন শিক্ষিত খামারি। তিনি চাকরির পেছনে না ছুটে খামার গড়ে তুলেছেন। আমার অফিসের সঙ্গে তাঁর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়। তাঁর এ সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ খামার গড়ে তুলতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সহযোগিতা করা হবে।’

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

শাহজাদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা
সিরাজগঞ্জে পুরোদমে চলছে কৃষিবান্ধব সোলার প্রকল্পের কাজ
সিরাজগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
বেলকুচিতে বিএসটিআই অনুমোদন না থাকায় টেক্সটাইল মিলকে জরিমানা
বেলকুচিতে পুষ্টি বিষয়ক সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
গবেষণায় আরো জোর দিতে বললেন কৃষিমন্ত্রী
রংপুর ও ভোলার চরের মানুষদের সুখবর দিলেন পরিবেশমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক