শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চায়না কমলা চাষে সফল আলমগীর, ৫ লাখ টাকা বিক্রির আশা!

চায়না কমলা চাষে সফল আলমগীর, ৫ লাখ টাকা বিক্রির আশা!

বাণিজ্যিকভাবে চায়না-থ্রি জাতের কমলার চাষ করে সফল হয়েছেন প্রবাসফেরত যুবক মো. আলমগীর মিয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাঁঠাল, মাল্টা, পেয়ারা, লিচুর পর এবার চায়না কমলা চাষেও সফলতা দেখা দিয়েছে। তার বাগানের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে তার বাগান দেখতে অনেক দর্শনার্থীরা ভীড় করছেন। চায়না কমলা চাষে তার সফলতা দেখে অনেক বেকার যুবক কমলা চাষ আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি বিভাগের পূর্ন সহযোগীতা থাকলে কমলা চাষে আগ্রহী হতে চান বলে জানান এলাকার বেকার যুবকরা।

জানা যায়, প্রবাস ফেরত আলমগীর মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দুলালপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ২০ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে কয়েক বছর আগেই দেশে ফিরেছেন। বাড়িতে এসে পরিক্ষামূলকভাবে ফলের চাষ শুরু করেন। বাণিজ্যিকভাবে চায়না কমলা চাষে এবছরই সফলতা পেয়েছেন। বর্তমানে তার বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ঝুঁলছে হলুদ রঙের কমলা। যা দেখতে প্রতিদিন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ভীড় করছেন। আর তার সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক কমল চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

কমলা চাষি আলমগীর বলেন, আমি অনলাইনে কমলার চাষ দেখে আগ্রহী হই। তারপর চুয়াডাঙ্গার এক চাষির সাথে যোগাযোগ করে তার পরামর্শ নিয়ে সেখান থেকে চায়না-৩ জাতের ১৮৫ টি চারা কিনে নিয়ে আসি। তারপর আমার চাচার কাছ থেকে ৬৫ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে কমলার চাষ শুরু করি। মাত্র দুই বছর হয়েছে কমলার চারা রোপন করেছি। এই দুই বছরেই কমলা চাষে সফলতা পেয়ে আমি খুশি।

তিনি আরো বলেন, অনেকেই বলেছিল এই কমলার ফলন হবে না। বর্তমানে আমার বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ঝুঁলছে হলুদ রঙের কমলা। এখন পর্যন্ত ১৭০ টাকা কেজি দরে ১২০০ কেজি কমলা বিক্রি করেছি। বাগানের খবর পেয়ে অনেক দর্শনার্থীরা দেখতে আসছেন। তারা নিজের হাতে কমলা পেড়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি খরচ বাদ দিয়ে ৫ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবো।

রাজু মোল্লা নামে এক চাষি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এই এলাকা কমলার ফলন হবে না। কিন্তু এখন দেখছি কমলার ফলনও আসছে আর এই কমলার চাষ অনেক লাভজনক। কৃষি বিভাগের সহযোগীতা পেলে আমরাও কমলার চাষ করতে চাই।

মো. মুসা মিয়া নামে আরেক চাষি বলেন, আমাদের এলাকার মাটি কমলা চাষের জন্য উপযোগী। এই বিষয়টি আলমগীরের মাধ্যমে প্রমাণিত। সরকারি সহযোগীতা পেলে বড় পরিসরে আমরাও কমলার চাষ করতে আগ্রহী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে বাগানে ঘুরতে আসা কাজী নূরজাহান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ঘোরার মতো খোলামেলা কোনো জায়গা নেই। তাই সন্তানদের নিয়ে এই এলাকায় ঘুরতে এসেছি। এখানকার পরিবেশ খুব সুন্দর ও এই কমলা বাগানটি দেখে আমরা আরো মুদ্ধ হয়েছি। বাচ্চারা খুব আনন্দ পেয়েছে। আমরা এই কমলা বাগান থেকে কমলা কিনেছি। কমলা গুলো খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি।

বিজয়নগর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ ও হাদিউল ইসলাম বলেন, আগে চায়না কমলার পরিক্ষামূলক চাষ করলেও সফলতা পাওয়া যায়নি। তবে চাষি আলমগীর কমলা চাষে সফলতা পেয়েছেন। আমরা চাষি আলমগীরের পরামর্শ নিয়ে এই অঞ্চলে কমলার চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

শাহজাদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা
সিরাজগঞ্জে পুরোদমে চলছে কৃষিবান্ধব সোলার প্রকল্পের কাজ
সিরাজগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
বেলকুচিতে বিএসটিআই অনুমোদন না থাকায় টেক্সটাইল মিলকে জরিমানা
বেলকুচিতে পুষ্টি বিষয়ক সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
গবেষণায় আরো জোর দিতে বললেন কৃষিমন্ত্রী
রংপুর ও ভোলার চরের মানুষদের সুখবর দিলেন পরিবেশমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক