শখের বশে বারোমাসি কাটিমন জাতের আম চাষ করেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ডা.হাবিবুর রহমান হাবীব। মাত্র ৪০ শতক জমিতে পাঁচশটি কাটিমন বারোমাসি জাতের গাছ নিয়ে আমের বাগান শুরু করেন তিনি। গত বছর থেকেই কাটিমন বারোমাসি আমের বাগানে আম আসতে শুরু হয়। এখন তার কাটিমন আমের বাগানে প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম।
ডা.হাবিবুর রহমান হাবীব দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সি বিভাগের চিকিৎসক প্রভাষক। তার বাড়ি দিনাজপুর সদরের কমলপুর ইউনিয়নের মাড়িহার এলাকায়।
জানা যায়, ইউটিউব চ্যানেল দেখে দিনাজপুর সদরের কমলপুর ইউনিয়নের মাড়িহার নিজ গ্রামের বাড়িতে শখের বশে বারোমাসি কাটিমন জাতের আম চাষ করেন তিনি। তিন বছর পূর্বে কৃষি কর্মকর্তা এক বন্ধুর পরামর্শে ময়মনসিংহের একটি নার্সারি থেকে পাঁচশটি কাটিমন বারোমাসি জাতের গাছ এনে মাত্র ৪০ শতক জমিতে বাগান শুরু করেন। গত বছর থেকেই তার কাটিমন বারোমাসি আমের বাগানে আম আসতে শুরু হয়। এখন তার কাটিমন আমের বাগানে প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় আম ঝুলছে । প্রতিটি আম গাছের ডালে ডালে আম ঝুলছে। প্রতিটি আমের গাছে কমপক্ষে ৩-৫ কেজি পর্যন্ত আম ধরে আছে। আবার কোন কোন গাছে আবার নতুন করে মুকুল আসছে। কোন কোন গাছে আমের গুটি চলে এসেছে।
আম চাষি ডা. হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন , আমি আধুনিক চাষাবাদে বিশ্বাসী। আমার কৃষিবিদ বন্ধুর পরামর্শে বারোবাসি আমের বাগান শুরু করেছি। মাত্র তিন বছরে কাটিমন জাতের আমের ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় ছুটির দিনে ছুটে আসি বাগানে। প্রতিটি গাছের পরিচর্যা করে থাকি।
তিনি বলেন, প্রতিটি আম গাছে ৫-৭ কেজি পর্যন্ত আম সোভা পাচ্ছে । যা দেখে মনটা ভরে যায়। এই অসময়ে আম সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে আম উপহার হিসেবে পাঠাচ্ছি। তারা এই অসময়ে আম পেয়ে অনেক খুশি। এ কাটিমন জাতের আমের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমের পাইকাররা প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি ধরে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
ডা. হাবীবের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, ভাই ব্যস্ত, তাই নিজ গ্রামে গড়ে তোলা বারোবাসি কাটিমন জাতের আমের বাগান আমি দেখাশোনা করি। তিন বছরের প্রতিটি আমের গাছ খুব বেশি বড় হয়নি। তাই প্রতিটি আমের গাছের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। নিয়মিত স্প্রে করতে হয় যাতে আমের মুকুল জড়ে পড়ে না যায়।
প্রতিবেশি আবুল কাশেম বলেন, ডা. হাবীবের আমের বাগানে এসে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। এই অসময়ে তার আমের বাগানে থোকায় থোকায় আম দেখে। প্রতিটি আম গাছেই পরিপুষ্ট । খেতেও অসাধারণ। তার বাগান থেকে আমের চারা ক্রয় করছি।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক খালেকুর রহমান বলেন, বারোবাসি কাটিমন জাতের আমের চাষ বাড়ানোর জন্য আলাদা একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রতি বছর এই জেলায় বারোমাসি কাটিমন আমের বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। এই জাতের আম বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় অনেকেই এই জাতের আম চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ