শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মসলা চাষে ভাগ্যবদল পঞ্চগড়ের কৃষকদের

মসলা চাষে ভাগ্যবদল পঞ্চগড়ের কৃষকদের

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলায় হলুদ আদাসহ বিভিন্ন মসলাজাত ফসলের আবাদ বর্তমানে কৃষিতে নতুন এক বিপ্লব এনে দিয়েছে। ভৌগলিক অবস্থার কারণে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারালেও বিকল্প নানা ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে পঞ্চগড়ের চাষিরা। পরিবেশ উপযোগী, ঝুঁকি কম এবং উৎপাদন খরচ সীমিত পক্ষান্তরে অধিক মুনাফা নিশ্চিত হয়ে পঞ্চগড়ের চাষিরা ঝুঁকে পড়েছে উচ্চ ফলনশীল এসব আবাদে।

নদীর চর পরিত্যক্ত বিরান ভূমিসহ বাড়ির আঙ্গিনার খোলা জায়গাটুকু পর্যন্ত কেউ আর ফেলে রাখছে না। ফলমূলের আবাদের পাশাপাশি এসব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সীমিত পরিসরে আদা হলুদ ধনেপাতাসহ বিভিন্ন মসলাজাত ফসলের চাষাবাদ করে আসছে চাষিরা। বিশেষ করে এই দুই উপজেলার নদীর চরাঞ্চলে ব্যাপক আকারে চাষ হচ্ছে হলুদের। প্রযুক্তিগত ধারনা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এ জেলার উৎপাদিত হলুদ গ্রামীণ এই জনপদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

পঞ্চগড় জেলার মাটি এবং আবহাওয়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্ন। মাটিতে পাথর এবং বালির আধিক্য থাকায় অর্থকরী ফসল উৎপাদনে ঝুঁকি ও লাভ সীমিত হবার কারণে চাষিরা লাভজনক উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদনের কৌশল খুঁজছেন। এই তালিকায় শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজির পাশাপাশি মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছেন বেশি। উৎপাদনমুখী এই প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে পাশাপাশি সচ্ছলতাও ফিরেছে প্রান্তিক চাষিদের মাঝে।

দেবীগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চর এলাকার আব্দুল লতিফ, সোহরাব আলী ও নয়া মিঞা জানান, এই এলাকার অনেক বালুময় জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত অবস্থায় পড়ে ছিল। ১০ বছর ধরে কৃষকরা এসব জমিতে হলুদ আদাসহ নানা রকম ফসল আবাদ করে লাভবান হচ্ছে। বিঘা প্রতি ২৫ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘাতেই লক্ষাধিক টাকার হলুদ বিক্রি সম্ভব বলে তিনি জানান। 

আরেক হলুদ চাষি মোস্তফা কামাল বলেন, এই এলাকায় যে হলুদ আবাদ হয় তা বাজারে খুব চাহিদা। সরকারিভাবে ক্ষুদ্র চাষিদের সহায়তা করতে পারলে চাষিরা ব্যাপক আকারে হলুদের চাষ করে সফলতা অর্জন করতে পারবে।

দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাপিয়ার রহমান জানান, মসলাজাত এসব ফসলে চাষিদের আগ্রহ থাকায় এবং ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ। স্বল্প খরচে অধিক মুনাফায় এই হলুদ চাষে চাষিরা লাভবান হওয়ায় দিন দিন হলুদ চাষের পরিধি বাড়ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এই অঞ্চলটিকে ইতোমধ্যে কৃষি বান্ধব অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, অর্থকরী ফসল ছাড়াও এখানে উৎপাদিত হচ্ছে, মালটা, পেয়ারা কলাসহ মসলাজাত নানা ফসল। সুষ্ঠু বাজার জাত এবং উৎপাদিত ফসলের সন্তোষজনক দাম, এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চাষিদের সহায়তা করা গেলে পঞ্চগড়ের উৎপাদিত হলুদ এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

শাহজাদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা
সিরাজগঞ্জে পুরোদমে চলছে কৃষিবান্ধব সোলার প্রকল্পের কাজ
সিরাজগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
বেলকুচিতে বিএসটিআই অনুমোদন না থাকায় টেক্সটাইল মিলকে জরিমানা
বেলকুচিতে পুষ্টি বিষয়ক সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
গবেষণায় আরো জোর দিতে বললেন কৃষিমন্ত্রী
রংপুর ও ভোলার চরের মানুষদের সুখবর দিলেন পরিবেশমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক