
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে রেড ও ব্ল্যাক রাইস (লাল ও কালো ধান) চাষ করে সফলতার সম্ভাবনা দেখছেন স্মার্ট কৃষি উদ্যোক্তা মজিবর রহমান। সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের গ্রাম বহরপুর মাঠে ধানক্ষেতের সবুজ গাছে দোলা দেয়া সোনালি শীষ আর এর পাশেই সবুজ গাছে দুলছে লাল ও কালো ধানের শীষ। এ ধানক্ষেত দেখতে এসেছেন অনেকে।
ক্ষেত দেখতে আসা মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ জাতের ধানগাছ এর পূর্বে দেখেননি, তাই দেখতে এসেছেন। আবার অনেকে ইউটিউব দেখে চাষে আগ্রহী হয়ে চাষাবাদের বাস্তব চিত্র দেখার জন্য এসেছেন।
কৃষি উদ্যক্তা মজিবর রহমান জানান, ইউটিউবে দেখে আমি উদ্ভূদ্ধ হয়ে প্রতিকেজি ধানবীজ ২ হাজার টাকা দরে ৪ কেজি ৮ হাজার টাকায় ক্রয় করে টিপু সুলতানের সহযোগীতায় ৮০ শতাংশ জমিতে বপণ করি। সঠিক পরিচর্যার ফলে ধানগাছ বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে শীষ ধরা শুরু হয়েছে। আশা করছি ভালো ফলন হবে।
তিনি আরো জানান, পূর্বে শুধুমাত্র চিন দেশের রাজ পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য এই ধানের আবাদ হয়ে থাকতো। প্রজাদের এর আবাদে নিষেধাজ্ঞা ছিলো। রেড জাতের ধানের চাল হয় লাল ও ব্লাক জাতের চাউল হয় কালো। এর চালে পুষ্টির পাশপাশি ঔষধি গুণ রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিজেন থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে থাকা ফাইবার হৃদপিণ্ড সচল রাখে। এছাড়াও ক্যান্সার ও ডায়াবেটিকস, স্নায়ুরোগসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ গুণ রয়েছে। এ ধান থেকে পাওয়া চাল প্রতিকেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। এ চাল মানুষ ভাত, পায়েস বা অন্য প্রক্রিয়ায় খেতে পারে। একজন মানুষ প্রতিদিন ১০০ গ্রাম চালের ভাত খেতে পারে। আমার উদ্যগে সফল হলে প্রতিকেজি ধানের বীজ ১ হাজার টাকায় দেওয়া সম্ভব হবে ফলে কৃষকেরা এ ধান চাষে আগ্রহী হবে বলে আশা করছি।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন এ জাতের ধানে প্রচুর পুষ্টি গুণ রয়েছে এছারাও ঔষধি গুন থাকায় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে । এ ধান চাষ বৃদ্ধি পেলে এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। আমরা ইতিমধ্যে ক্ষেত পরিদর্শন করে প্রদর্শনীর অন্তরভূক্ত করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ