বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২২ দিনে দ্বিগুণ লাভ, সবজির চারা উৎপাদনে ঝুঁকছেন চাষিরা

২২ দিনে দ্বিগুণ লাভ, সবজির চারা উৎপাদনে ঝুঁকছেন চাষিরা

মুন্সীগঞ্জের চাষিরা উৎপাদন করছেন বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা। বীজ রোপণের পর  ২২ দিনের মধ্যে সবজির চারা বিক্রি করা যায়। এতে অল্প সময়ে দ্বিগুণ লাভ হয় চাষিদের। এর ফলে জেলার চাষিরা সবজির চারা উৎপাদনে ঝুঁকছেন।

জানা যায়, মুন্সীগঞ্জে উৎপাদিত সবজির চারার বেশিরভাগ বীজ জাপান ও চীন থেকে আসে। জাতভেদে প্রতি কেজি বীজের চারা ৪০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। এসব বীজ থেকে উৎপাদিত চারার মান ভালো হয়ে থাকে।

মুন্সীগঞ্জে উৎপাদিত সবজির চারার মান অন্য জেলার চেয়ে ভালো। মুন্সীগঞ্জ সদর ও টংগিবাড়ী উপজেলায় টমেটো, কুমড়া, মরিচ, বেগুন , ফুলকপি, বাঁধাকপি, শীতকালীন লাউ, ব্রোকলির চারা উৎপাদন করা হয়। প্রতি বছর এসব চারা বিক্রি হয় কয়েক কোটি টাকায়। মূলত সদর উপজেলার কেপিরবাগ, ভট্টাচার্যের বাগ, দেওয়ানবাজার, রামসিং, কালচি পাড়া, দেওসার , রামপাল, ধলাগাঁও, সিপাহিপাড়া এবং টংগিবাড়ী উপজেলার পাইকপাড়া, আবদুল্লাহপুর, সোনারং এলাকায় বেশি চারা উৎপাদিত হয়। এখানে উৎপাদিত চারার মান ভালো হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

প্রতি বছর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে চারা উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। বীজ রোপণের পর ২২ দিনের মধ্যে চারা বিক্রি করা যায়। প্রতি হাজার চারা এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি মৌসুমে একটি বীজতলায় চার বার চারা উৎপাদন করা যায়।

কয়েকটি গ্রামে দেখা যায়, বাড়ির পাশের উঁচু জমিতে বীজতলা বানিয়ে সবজির চারা আবাদ করা হয়েছে। রোদ-বৃষ্টি থেকে চারা রক্ষার জন্য উপরে বাঁশের চাটাই দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এখন পুরোদমে চারা বিক্রি করছেন চাষিরা।

সদর উপজেলার চারা চাষি হারুন রশিদ জানান, এ বছর তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে সবজির চারা চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। এরই মধ্যে ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করছেন এ বছর প্রায় আট লাখ টাকার চারা বিক্রি করতে পারবেন।

একই এলাকার চাষি আমির হোসেন ঢালী জানান, তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা চাষ করেছেন। এরই মধ্যে তিনি এক লাখ টাকার চারা বিক্রি করেছেন। এ বছর তিনি পাঁচ লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. খুরশীদ আলম বলেন, এরই মধ্যে জেলায় শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে উৎপাদিত সবজির চারার মান ভালো হওয়ায় জেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর