শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ড্রাগন চাষে নারী উদোক্তা নাছিমার বাজিমাত, বিক্রি ১২ লাখ টাকা!

ড্রাগন চাষে নারী উদোক্তা নাছিমার বাজিমাত, বিক্রি ১২ লাখ টাকা!

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার চাঁদসার গ্রামের নাছিমা বেগম ড্রাগন চাষে সফল হয়েছেন। স্বামীর বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা জমিয়ে বাগান করে আজ তিনি সফলতা পেয়েছেন। প্রতিবেশীদের কথা না শুনে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। বর্তমানে আমার থেকে চারা ও পরামর্শ নিয়ে বাগান করেছেন ৫০ জনের বেশি।

জানা যায়, নাছিমা বেগমের স্বামী বিদেশে থাকতেন। স্বামী বিদেশ থাকা অবস্থায় নাছিমা ভাবতেন স্বামী তো আর সারাজীবন বিদেশে থাকবেন না। তাই স্থায়ী একটা আয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। স্বামীকে বাগানের কথা জানালে তিনি সম্মতি দেন। তারপর ৮০ শতক জমিতে চারা রোপন করে মাল্টার চাষ শুরু করেন। সেই বাগানের আয়ে কিনেছেন জমি, করেছেন বাড়ি।

নাছিমা বেগম বলেন, প্রবাস থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা জমিয়ে ড্রাগন ফলের বাগান করি। স্বামী বেশি দিন বিদেশে থাকবে না। তাই একটা স্থায়ী আয়ের উৎসের জন্য ড্রাগনের বাগান করি। স্বামীর পরামর্শ চাইলে তিনি অনুমতি দেন। কিন্তু পাড়া-প্রতিবেশীরা অনেক কটূ কথা বলে। আমি তাদের কথায় কান দেইনি। আমি আমার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাই। ফলে আজ সফলতা পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, টাকা স্বামীর জমিয়ে বাড়ি করার ইচ্ছে ছিল। সেই জমানো ১০ লাখ টাকা দিয়ে ২০১৯ সালে নাটোর থেকে চারা সংগ্রহ করে ৮০ শতক জমিতে ড্রাগনের চাষ শুরু করি। বিদেশে থেকে ফিরে স্বামীও বাগানের কাজে যোগ দেন। প্রথম বছর দেড় লাখ টাকার, দ্বিতীয় বছর ৫ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করি। বর্তমানে আরো ৪০ শতকের দুটি জমিতে বাগান করেছি। এই বাগানে তেমন খরচ হয়নি, শুধু পিলার বসাতে হয়েছে।

এবছর প্রায় ১২ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করি। প্রতি কেজির পাইকারি দাম ২৭০-৩০০ টাকা। পাইকাররা বাগানে এসে ড্রাগন নিয়ে যায়। স্থানীদের মাঝে খুচরাও বিক্রি করি।

নাছিমার স্বামী মোহাম্মদ আলী বলেন, ড্রাগনের আয়ে আমাদের পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে। আমরা সুখে আছি।

চান্দিনার কাদুটি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, নাছিমা বেগম নারীর এগিয়ে যাওয়া, নারীর ইচ্ছা শক্তির উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। তাকে দেখে অনেকে ড্রাগন চাষে উৎসাহিত হয়েছেন।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, নারীদের কৃষি উদ্যোক্তা করে গড়ে তুলতে কৃষি বিভাগ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। তারই ফল নাছিমা বেগম। তিনি তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ সফল উদোক্তা হতে পেরেছেন। তার সফলতা দেখে অনেকেই ড্রাগন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ চাষিদের চারা, সার, প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগীতা করছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর