মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নান্দাইলে ড্রাগন চাষে আগ্রহ বাড়ছে, চাষিদের সাফল্যের হাসি

নান্দাইলে ড্রাগন চাষে আগ্রহ বাড়ছে, চাষিদের সাফল্যের হাসি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ড্রাগন চাষ করে ভালো ফলন এবং বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ড্রাগন বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বিদেশি এই ফল দেশে মাটিতে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করে স্থানীয় বাজারে এর ভালো মূল্য পেয়ে উদ্যোক্তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। উন্নত জাতের ড্রাগন বাগান করে সফলতা অর্জন করছেন চাষিরা।

সরজমিনে নান্দাইল উপজেলার কাটলীপাড়া গ্রামে দিয়ে দেখা যায় ওই এলাকার রফিউল করিম মোহন ৩০ শতক জমিতে ড্রাগন বাগান করেছেন। এতে ৩০০ পিলারে গত দেড় বছর আগে জানুয়ারি মাসে চারটি করে চারা রোপণ করেন। এবছরের মে মাস থেকে ফুল আসে। বর্তমানে প্রত্যেকটি গাছেই ভালো ফলন ধরেছে। জুন মাস থেকে ফল বিক্রি করতে পারছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি। প্রতি কেজি ফল পাইকারি ৩৭০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। বর্তমান বাজারে ৩৩০ প্রতি কেজি ড্রাগন ফল পাইকারি বিক্রি করছেন। এতে তার এই বাগান করতে যা খরচ হয়েছে তা আগামী বছরেই তুলে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

উদ্যোক্তা রফিউল করিম মোহন জানান, এ বছর নতুন বাগান তবুও এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ টাকার বিক্রি করতে পেরেছি। নভেম্বরের শেষ দিক পর্যন্ত আরো বিক্রি করতে পারবো। তবে আশা করছি আগামী সিজনে ব্যাপক ফল ধরবে। আগামী বছর দ্বিগুণ বা তিনগুণ ফল পাওয়া যাবে। সামনের বছর বাগানটি পরিপূর্ণ হবে। বাজার দর এমন থাকলে আর প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না থাকলে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।

তিনি জানান, অন্যান্য বাগানের তুলনায় আমার বাগানের ফল সুস্বাদু এবং কালারও চমৎকার। তুলনামূলক ভাবে দরও ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দিচ্ছে পাইকাররা। জাত বাচাইয়ে আমি উন্নত জাতের মালোশিয়ান পিংক জাতের বাউ ড্রাগন-৪ চাষ করেছি। যা দেখতে গোলাপি, সাইজও গোলাকার। খুবই মিষ্ট ও সুস্বাদু। বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি।

ড্রাগন চাষে উৎসাহ সম্পর্কে তিনি জানান, প্রথমে ছোট পরিসরে ৩ শতক জমিতে ২০১৬ সালে ২৮টি পিলার দিয়ে শুরু করি খাওয়ার জন্য। পরে দেখি ব্যাপক ফলন হয়েছে। ফলও অত্যান্ত সুস্বাদু। আন্ত বাজারে খাওনোর মত। যা আমি কল্পনাও করিনি। এখান থেকে খাবারের বাহিরে অনেক ফল বিক্রি করি। এতে অর্থনৈতিক ভাবে ভালো লাভবান হই। এর পক্ষথেকে আমার আগ্রহ বাড়ে। চিন্তা করি আরেকটি বাগান করার। আমার সফলতা দেখে পরিবার থেকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করে। এবং পরিবারের সবাই বাগানে শ্রম দেয়। পরে ২০২১ সালে নতুন চারা উৎপাদন করি। এবং ৩০ শতক জমির মধ্যে মাটি ভরাট করে ৩০০টি পিলার স্থাপন করে নতুন বাগান করি। এতে ওই জমিতে মাটি ভরাট, পিলার তৈরি, বাগানের চারিদিকে বেড়া দেয়া এবং চারা লাগানোসহ প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ হয়।

এই ফল চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি জানান, ড্রাগন বিদেশি একটি ফল আমাদের দেশে চাষ হচ্ছে। এখানকার মাটি এবং পরিবেশ উপযোগী করে চাষ করতে হয়। প্রথমে মাটিতে প্রচুর জৈবসার গোবর প্রস্তুত করে পরে চারা লাগাতে হয়। ভালো জাত নির্ণয় করে সঠিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ করে সঠিক পরিচর্যায় দেশের মাটিতেই বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব। এই ফলটি বর্তমান বাজারেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলের দিক থেক ড্রাগন ফলের রাজা।

পুষ্টি গুণের দিক থেকেও এতে ভিটামিন সি, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত। ফলে ফিবার, ফ্যাট, ক্যারোটিণ, প্রচুর ফসফরাস, এসকরবিক এসিড, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন রয়েছে। যা ঔষধী হিসেবেও বিভিন্ন রোগের কার্যকরী। তাই ভালো ফলন, চাহিদা এবং বাজারে ভালো দর পাওয়ায় এই উপজেলায় ড্রাগন চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর