• মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১১ ১৪৩০

  • || ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

চরের বুকে বিষমুক্ত সবজি চাষে সফল চাষিরা!

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২  

আয়তনের দিক দিয়ে ছোট দেশ হলেও বাংলাদেশে সবজি উৎপাদনে বিপুল সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বর্তমানে সবজি উৎপাদনে চীন ও ভারতের পরে বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। অতীতেও যেমন সবজি উৎপাদনে আঞ্চলিক প্যাটার্ন ছিল, এখনো তা অক্ষুণ্ণ আছে। এখন চরাঞ্চলে বিষমুক্ত সবজি চাষের চেষ্টা চলছে। চরের কিছু পরিবার নিজেদের বাড়ির উঠানে ও চারপাশের অব্যবহৃত জায়গায় সবজি চাষ করছেন।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর বুকে বেড়ে উঠা ২০টি চরাঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার পরিবার বিষমুক্ত সবজি চাষ করছে। এদের অধিকাংশ পরিবারই ভূমিহীন। তাদের নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা হবে বলে মনে করছেন। লাউ, বরবটি, মরিচ, করলা, বেগুন সহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি বাড়ির চারপাশে অল্প অল্প করে চাষ করার চেষ্টা করছেন।
তাদের এই বিষমুক্ত সবজি চাষে আরো উৎসাহিত করতে একটি বেসরকারি সংস্থা সাহায্য করছে। তারা বিনা মূল্যে চারা ও বীজ দিয়ে সহযোগীতা করছেন।

চর শাখা হাতি এলাকার গৃহবধু আমিনা বলেন, আগে আমরা বসতভিটা ও বাড়ির চারপাশে খালি রাখতাম। সেখানে কিছুই করতাম না। একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগীতায় এখন আমরা জৈব সার ব্যবহার করে সেখানে বিষমুক্ত সবজি চাষ করছি। এতে আমাদের সবজির প্রয়োজনীয়তা ভালো ভাবেই মেটাতে পারছি। আর কিছু কিছু সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করছি। আশা করছি আগামীতে আরো বেশি সবজি চাষ করে সংসারের আয় বাড়াতে পারবো।

জোড়গাছ চরের ফতেমা বলেন, আমরা সারা বছরই লাউ, মরিচ, করলা সহ অন্যান্য শাক উৎপাদন করে থাকি। সংস্থাটির পরামর্শে গাছের যত্ন নেই আর সময় মতো জৈব সার দিয়ে থাকি। এতে দিন দিন ফলন বৃদ্ধি হচ্ছে। সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় অনেকেই আমাদের কাছে এসে সবজি কিনে নিয়ে যায়। প্রতি মাসে প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারছি। আমরাও লাভবান হচ্ছি।

চিলমারী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষণ দাস বলেন, এখনো বানিজ্যিকভাবে সবজি চাষ হচ্ছেনা। অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি কৃষি বিভাগও চরের মানুষের সহযোগীতা করে আসছে। বসতবাড়ির উঠান ও আশেপাশের জায়গা খালি না রেখে বিষমুক্ত সবজি চাষ করে চরের মানুষ খুব উপকৃত হচ্ছেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ