শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা জয় করে বাড়ি ফিরেছেন একই পরিবারের ছয়জন

করোনা জয় করে বাড়ি ফিরেছেন একই পরিবারের ছয়জন

করোনা জয় করে বাড়ি ফিরেছেন একই পরিবারের ছয়জন। গত বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়ে তাঁরা মাইক্রোবাসযোগে সোজা চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের রূপনগরের বাড়িতে ফিরে আসেন। একই দিন রাতে সাতকানিয়ার আরও দুই ব্যক্তি করোনামুক্ত হয়েছেন।

করোনামুক্ত হওয়া পরিবারের সদস্য শামসুল আলম (৫৬) বলেন, ‘এক স্বজনের দাফন-কাফন ও জানাজায় অংশ নিয়েই আমরা একই পরিবারের সাতজন করোনায় আক্রান্ত হই। আমার ছোট ভাই কয়েক দিন আগে করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে ছাড়পত্র পেয়ে ঘরে ফিরেছি মা, স্ত্রীসহ আমরা ছয়জন।’

শামসুল বলেন, ‘২০ এপ্রিল আমাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৬ এপ্রিল করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর পাই। পরিবারের এতজন সদস্যের করোনা শনাক্ত হওয়ার খবরে মুষড়ে পড়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকদের আন্তরিকতা আমাদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া পরিচিত ব্যক্তি ও হাসপাতালের অন্যান্য মানুষও প্রতিনিয়ত আমাদের সাহস জুগিয়েছেন। এতে আমরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছি।’

শামসুল আলম আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হলে ভেঙে পড়া চলবে না। সাহস রাখতে হবে। মনকে শক্ত করতে হবে।

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম ঢেমশার ইছামতি আলীনগর এলাকার এক ব্যক্তি (৬৯) করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষা করা হলে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। এর আগে তাঁর লাশ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পরিবহন, ধোয়া, দাফন, কাফন করা হয়। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা একই পরিবারের ৭ জনসহ ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাঁরা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা শেষে ১১ জন বাড়ি ফিরেছেন।

একই দিন আরেক করোনাজয়ী জাকির হোসেন (১৯) বলেন, ‘এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে করোনা ধরা পড়ে। খবর শুনে মা-বাবা কাঁদছিলেন। আমিও অনেক কেঁদেছি।’

ওই তরুণ বলেন, ‘২৪ দিন করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে বুধবার রাতে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছি। মনে হচ্ছে নতুন জীবন পেয়েছি। আল্লাহর দয়া ও চিকিৎসকদের চেষ্টায় আমরা করোনামুক্ত হয়েছি।’

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ ওসমানী বলেন, সাতকানিয়ায় এ পর্যন্ত ১৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। বুধবার এক দিনেই সাতকানিয়ার আটজন সুস্থ হয়েছেন। এখন তাঁদের ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সব মিলিয়ে উপজেলার ১৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই