• সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৭ ১৪৩০

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

গাভী পালনে ফিরল দিন

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

হাতে পুঁজি বলতে তেমন কিছুই ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে পৈতৃক ভিটা বিক্রি করে সেই টাকায় গাভী পালন শুরু করেন। অল্প দিনেই আসে ব্যাপক সাফল্য। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের রহমান শেখের ছেলে মিজান শেখের স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার শুরুর গল্পটা এমনই। 

সফল এই খামারি বলেন, দীর্ঘদিন হাসামদিয়া বাজারে বিস্কুট ফ্যাক্টরির ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলাম। বেশ ভালোই চলছিল। হঠাৎ আগুনে পুড়ল সর্বস্ব। এ দূর্ঘটনায় এলাকা ছাড়া হয়ে পড়েছিলাম। এরপর অনাহারে অর্ধাহারে পরিবার নিয়ে চলত আমার সংসার। শেষ সম্বল পৈতৃক ভিটা বাড়ি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে আলফাডাঙ্গা বাঁকাইল গ্রামে ভাড়া বাড়িতে উঠি। পৈতৃক ভিটা বিক্রির টাকায় তিনটি গাভী ক্রয় করি। বর্তমানে সেটিকেই ১৯টি গাভীসহ কয়েকটি বাচ্চা নিয়ে গাভীর দুগ্ধ খামারে পরিণত করেছি। 

মিজান শেখ বলেন, বর্তমানে ৬ টি গাভী থেকে দুই বেলা ৬০-৬৫ লিটার দুধ আসে, সারা বছরেই গাভী থেকে দুধ পাই, দুধ বিক্রি করে খামারের খরচ বহনসহ আমার পরিবার চলছে বেশ হেসে খেলে। 

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর প্রায় ৬-৭ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে। বর্তমানে আমি খামার ব্যবসায় ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এখন সরকারিভাবে যদি বেশী পরিমাণ ঋণ সহযোগীতা পাই। তাহলে গাভী আমদানি করে এলাকার বেকার ছেলেদের কাজের সুযোগ করে দিতে পারতাম।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ