সুন্দর ঝকঝকে দাঁত সবাই পেতে চায়। হলদে দাঁত হাসির সঙ্গে সঙ্গে সব সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। তাছাড়া অন্যের সামনে লজ্জায়ও পড়তে হয়। তাই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।
আপনি ঘরে বসেই কিছু টিপস মেনে চললে হলুদ দাঁতজনিত সমস্যা থেকে রেহা্ই পেতে পারেন। এর ফলে হলুদ দাগ তো যাবেই, দাঁত হবে ঝকঝকে-উজ্জ্বল। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া টিপসগুলো-
নারকেল তেলে কুলকুচি
নারকেল তেল বা চায়ের নির্যাস দিয়ে কুলকুচি করলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন। কেননা এসব উপাদান আপনার দাঁতকে 'টারটার' ও প্লাক পড়ার হাত থেকে রক্ষা করবে। 'টারটার' ও প্লাকের কারণে দাঁত বিবর্ণ হয়ে যায়। ওই তেল ২ চা চামচ পরিমাণ মুখে নিয়ে অন্তত ৫ মিনিট কুলকুচি করুন। আর কুলকুচির পর আধা ঘন্টা খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিদিন ২ বার এই প্রক্রিয়া মেনে চলুন।
তুলসি পাতা
তুলসি পাতার ব্যবহারে দারুণ ফল পাবেন। ১৫ থেকে ২০টি পরিষ্কার তুলশি পাতা দিয়ে টুথপেষ্ট বানিয়ে নিন, নিয়মিত ব্রাশ করুন, দাঁত হবে ঝকঝকে দাগহীন।
কাঠকয়লার গুঁড়া
কাঠকয়লার গুঁড়া ব্রাশে লাগিয়ে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলদায়ক হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতের ওপর একটু ভালোভাবে ব্রাশ করতে হবে।
দুগ্ধজাত খাবার
নিয়মিত দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, দধি খেলে মিনারেল ও অ্যানামেলের প্রভাবে দাঁত থাকবে সুন্দর, হলুদ দাগ বা বিবর্ণতার সম্ভাবনা কমে যাবে।
ইলেকট্রিক টুথব্র্যাশ
ভালো মানের টুথপেষ্টের সঙ্গে ইলেকট্রিক টুথব্র্যাশ ব্যবহার করুন। এর ফলে হলুদ দাগ ও ক্ষতিকর 'প্লাক'-র হাত থেকে মুক্ত থাকবেন। মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
এছাড়া খাবার গ্রহণের পরপরই ভুলেও দেরি না করে ব্রাশ করে ফেলুন। কেননা খাবার গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই মুখগহ্বরে যে এসিড ও সুগার নি:সৃত হয় তা দাঁতের অ্যানামেলকে দূর্বল করে ফেলে। দাঁত ব্রাশের পরে খুব ভালোভাবে কুলকুচি করতে ভুলবেন না যেন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ