শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিজ বোমা হামলা, মামলার রায় আজ

সিরিজ বোমা হামলা, মামলার রায় আজ

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সাতক্ষীরা শহরের পাঁচ স্থানে সিরিজ বোমা হামলার মামলায় দোষীদের সাজা হবে কি না, তা জানা যাবে আজ বুধবার। এদিকে সকাল থেকে আদালত চত্বরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শরিফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করবেন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ। তাকে সহায়তা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ।

এ সময় তারা বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং আলামত জব্দের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় এ মামলার সবাই দোষী। তারা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন। এই শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জিএম আবুবকর সিদ্দীক। তিনি আইনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ৩, ৪, ৬ ধারা প্রযোজ্য নয়। ন্যায়বিচার হলে সব আসামি খালাস পাবে।

এরই মধ্যে ছয়টি মামলার আসামি মনিরুজ্জামান মুন্না, বিল্লাল হোসেন, মো. গিয়াস উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিটন, শামীম হোসেন গালিব, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আনিসুর রহমান খোকন ও মিন্টুসহ সব জামিনপ্রাপ্ত এবং জেলহাজতে আটক আসামিকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সাতক্ষীরা শহরের শহীদ রাজ্জাক পার্ক, কালেকটরেট চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, হাসপাতাল মোড় ও বাস টার্মিনাল এলাকায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ এবং জামায়াতুল মুজাহিদিন জেএমবির লিফলেট ছড়ানো হয়।

সকালে এ ঘটনার পর বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বরে বোমা হামলাকারী শহরতলির বাঁকাল গ্রামের নাসিরউদ্দিন দফাদার প্রত্যক্ষদর্শীর দেখিয়ে দেওয়া মতে, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক গিয়াসউদ্দিনসহ আরও অনেক আসামি একে একে গ্রেফতার হন।

পুলিশ শহরের রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বোমার সরঞ্জাম জব্দ করে। গ্রেফতার হওয়া ১৩ আসামিকে ঢাকায় জেআইসিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়।

এ সংক্রান্ত ছয়টি মামলার প্রতিটিতে সিআইডি পুলিশ ১৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ২০০৬ সালের ১৩ মার্চ। তাদের মধ্যে ৯ জন কারাগারে, ছয়জন জামিনে এবং চারজন পলাতক রয়েছে।

গ্রেফতার প্রথম আসামি নাসিরউদ্দিন দফাদার ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর কারাগারে মারা যান। পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের ফখরুদ্দিন রাজী, সাতানির আবুল খায়ের ও কলারোয়ার পাটুলি গ্রামের মো. নাইমুদ্দিন।

মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক শেষে অসুস্থতার কারণে মমতাজউদ্দিন ও নুর আলি মেম্বর বাদে আটজনের জামিন বাতিল করেন আদালত। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের মধ্যে শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির ভিন্ন মামলায় ফাঁসি হওয়ায় তাদের আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই