সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা অঞ্চলে মাঠের সোনালী ইরি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। গৃহস্থ কৃষকেরা দিন যেতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এখন ধান কাটা দিন মজুরদের চাহিদা বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে মাঠের ধান কাটায় তাদের দিনের হাজিরার দাম। একজন ধান কাটা মজুরের দিনের মজুরি এখন বেড়ে ৪০০ টাকা হয়েছে। কৃষকেরা আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন।
তবে শিলাবৃষ্টিতে ধান ঝরেছে এমন মাঠগুলোয় কম হারে ফলন মিলছে বলে কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে । উল্লাপাড়া উপজেলা অঞ্চলের কৃষকদের কাছে বছরের প্রধান আবাদ হয়েছে ইরি বোরো ধান ফসল । উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, সলঙ্গা,হাটিকুমরুল ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে আগাম করে এ ধান ফসলের আবাদ করা হয়েছে । কৃষকেরা জানায় চলমান আবহাওয়ায় রোদ তাপ বেশি হওয়ায় মাঠের ধান ফসল তাড়াতাড়ি পেকে উঠছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ইরি বোরো ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকেরা ।
সরেজমিনে বেশ কটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে আগে পেকে উঠা ব্রি-২৮ জাতের ধান কৃষকেরা কাটছে। এছাড়া দুএকটি মাঠে ব্রি-২৯ জাতের পাকা ধান কাটা হচ্ছে । নাগরৌহা মাঠে কৃষক আবু বক্কার, ছালাম মিয়াসহ আরো ক'জন কৃষক ব্রি-২৮ জাতের ধান কাটছেন। এদের একজন জানান একদিন আগে কাটা এ জাতের ধানের আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ২২ মণ হারে ধান হয়েছে। এছাড়া আরো কটি এলাকার কৃষকেরা বেশ ভালো হারে ফলন পাচ্ছেন বলে জানান।
এদিকে জগজীবনপুর, আঙ্গারু সহ আশেপাশের কটি মাঠে কোনো কোনো জমি থেকে কম হারে ফলন মিলছে । গত কদিন আগে শিলাবৃষ্টিতে ধান ঝড়ে যাওয়ায় কম হারে ফলন মিলছে বলে জানান কৃষকেরা। এদিকে এলাকার হাটগুলোয় কেনাবেচায় নতুন ধান উঠছে। পুরোপুরি শুকনো একমণ ধান এক হাজার আশি থেকে সাড়ে ১১০০ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানা গেছে । উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে ।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ