শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সহিংসতায় আছে মানবতায় নেই হেফাজত

সহিংসতায় আছে মানবতায় নেই হেফাজত

ইসলাম শান্তির ধর্ম মানবতার ধর্ম। যারা ইসলামের কথা বলেন তারা মানবতা ও শান্তির দিক্ষা দিয়ে থাকেন। এমনটাই আদিকাল থেকে হয়ে আসছে। আর এ কারণেই হয়তো ধর্মীয় অনুভূতি এমন প্রখরভাবে কাজ করে আমাদের মধ্যে। যারা ইসলামের কথা বলেন, মানবতার কথা বলেন আমরা তাদেরকে সম্মান করি, মর্যাদা দেই, তাদের কথা শুনি। কিন্তু বর্তমানে ঘটেছে ঠিক তার উল্টোটা। 

বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলাম বলে তারা ইসলামের পক্ষে এবং ইসলামকে ‘হেফাজত’ করা তাদের ঈমানী দায়িত্ব আর এ কারণে তারা সংগঠিত হয়েছেন। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডে এটা মনে হয় না তারা সত্যি সত্যি ইসলামের হেফাজত করছেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে এখন নানা মহলে প্রকাশ্যে কথা উঠছে। বিশেষ করে অনেক আলেম হেফাজতের কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলছে।বেশ কিছু আলেমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন, যে কারণে হেফাজতে ইসলামকে ইসলামের হেফাজতকারী মনে করেন না তারা। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলো ইসলাম হলো শান্তি ও মানবাতা ধর্ম। তাহলে যারা ইসলামের হেফাজতকারী দাবি করেন তারা কিভাবে এর পরিপন্থী কাজ করতে পারেন। 

হেফাজতে ইসলাম কিভাবে মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে সহিংসতা শেখায়, উগ্রতা শেখায় এবং নাশকতা ও তাণ্ডব চালাতে আদেশ করেন। এটা সম্পূর্ণ ইসলাম পরিপন্থী, ইসলাম শান্তি শেখায় উগ্রতা নয়। আর যদি জিহাদ করতে হয় তার একটা প্রেক্ষাপট থাকতে হয়। সেই প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে তৈরি হয়নি। এ ছাড়া ইসলাম মানবতার ধর্ম, তাহলে হেফাজতে ইসলাম কি বড় কোনো মানবিক কাজ করছে প্রশ্ন অনেক আলেমের। তারা বলছেন দেশে করোনা পরিস্থিতিতে একটা মানবিক বিপর্যয় চলছে। ফলে এই অবস্থায় হেফাজতের উচিৎ ছিলো ত্রান বিতরণ করা, দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোভ কিন্তু তারা তা না করে করেছে বিরপীত কাজ। তারা হেফাজতের বেশ কিছু কাজ চিহ্নিত করেছেন যেগুলো ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।

১. মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উগ্রতা শেখানো: মাদ্রাসায় যারা লেখাপড়া করেন তাদের অনেকে আছেন দরিদ্র, অসহায় এবং এতিম। আর তাদের থাকা খাওয়া সবই চলে মাদ্রাসায়। ফলে এসব অসহায় শিক্ষার্থীদের উগ্রতা শেখানো, সহিংসতা ও তাণ্ডব চালাতে নির্দেশ দেয়া ইসলামের পরিপন্থী।

২. ত্রাণ বিতরণ ও মানবিক কার্যক্রম: গত বছর থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি চলছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে হেফাজত নিজেরা এবং মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বড় ধরনের ত্রাণ ও মানবিক কার্যক্রম করতে পারতো। কিন্তু তারা সেটা করে দেখাতে পারেনি।

৩. অর্থের লালসা: হেফাজতের অনেক নেতারই আর্থিক লালসা দেখা গেছে এবং সেই বিষয়টি এখন আস্তে আস্তে সামনে আসছে। আর এর কারণে বেশকিছু হেফাজত নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্মকে ঢাল বানিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে অনেক হেফাজত নেতার বিলাশবহুল, আরাম-আয়েশি জীবনযাপনের কথা অনেক আগেই সামনে এসেছে যা ইসলামের সাথে বিরোধপূর্ণ।

৪. নারী কেলেঙ্কারি: সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের যে নারী কেলেঙ্কারির কথা সামনে এসেছে এটা ইসলাম এবং হেফাজতের মূল আদের্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইসলামে নারীকে সবচেয়ে সম্মান দেয়া হয়েছে। মামুনুল হক ওই নারীকে বিয়ে করেছেন কি না বা বৈধ সম্পর্ক কি না সেটা পরের বিষয়। বড় বিষয় হচ্ছে যে সময় হেফাজতের ভাষ্যমতে ১৭ জন কর্মী নিহত হয়েছেন সেই সময় হেফাজতের গুরুত্বপূর্ণ নেতা কিভাবে বিনোদন করতে যেতে পারেন।

 ৫. ধর্ম ব্যবসা: ধর্মকে সামনে রেখে বা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার বিধান ইসলামে নেই। কিন্তু হেফাজত নেতারা ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজেরদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলো। তারা বিভিন্নভাবে সরকারকে কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেছে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে চাাঁদাবাজি করে নিজেদের পকের ভর্তি করেছে, যা ইসলামের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। অনেক আলেম বলছেন, এই হেফাজতের কাছে ইসলাম কখনই ‘হেফাজত’ হতে পারে না।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর