সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে লকডাউন করা হচ্ছে রাজশাহী। এরই মধ্যে প্রায় লকডাউন করে দেয়া হয়েছে রাজশাহী শহরকে। একেবারে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শহরের বাইরে থেকে কোনো যানবাহন ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না শহরে। আবার শহর থেকেও বের হতে দেয়া হচ্ছে না। জানিয়েছেন আরএমপি পুলিশের একাধিক সূত্র।
এদিকে, জেলা থেকেও সন্ধ্যা ছয়টার পরে আর কাউকে বের হতে দেয়া হবে না বা ঢুকতেও দেয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই লকডাউন থাকবে।
অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় সমন্বয় সভা থেকে রাজশাহী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন খন্দকার, জেলা প্রশাসন হামিদুল হক প্রমুখ।
সেনাবাহিনী ও পুলিশ কড়া সতর্ক অবস্থান নিয়েছে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে। সামাজিক নিরাপত্তা দূরুত্বের কথা মাথায় রেখে শহরে বাইরের কোনো যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজশাহীর অদূরে বেলপুকুর ও কাটাখালিতে বসানো হয়েছে দুটি চেকপোস্ট। অন্যদিকে নওদাপাড়া ও কাশিয়াডাঙ্গাতেও বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট।
অন্যদিকে রাজশাহীর আইডি হাসপাতলে আরো একজনকে আইসোলেশন রাখা হয়েছে। নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে আশা ১৮ বছরের ওই কিশোরকে স্থানীয় সিভিল সার্জন প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ করোনা পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আশায় খ্রীষ্টান মিশন হাসপাতালের নার্সকে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন করোনা চিকিৎসা টিমের আহ্বায়ক ডা. আজিজুল হক আজাদ।
তিনি আরো জানান, রামেক হাসপাতালের অবজারভেশন ওয়ার্ডে ৫জন রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার ছেড়ে দেয়া হবে। আশা করা হচ্ছে বাকি দুজনকে আগামীকাল মঙ্গলবার ছেড়ে দেয়া হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষাগারে সোমবার ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ল্যবটিন প্রধান ডা. সাবেরা গুলনেহার। রাজশাহী বিভাগের ৩১টি নমুনার মধ্যে আছে রাজশাহী জেলার ৬টি, বগুড়ার ৬টি, নবাবগঞ্জের ১০টি, নাটোরের ৮টি ও নওগাঁর ১টি। এদিকে ১ এপ্রিল চালুর পর মোট ৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো ল্যাবটিতে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
