শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এই মাসে সব মুসলিমরাই রোজা রাখার চেষ্টা করেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তারা সারাদিন অনাহারে থাকেন। এসময় অনেক অসুস্থ ব্যক্তিরাও রোজা রাখেন, নামাজ পড়েন। তবে অসুস্থ ব্যক্তিদের এসময় একটু বেশি সাবধানতা প্রয়োজন। ডায়াবেটিস রোগীদের এসময় অনেক নিয়ম মেনে রোজা রাখতে হয়।
তবে দেখা যায় যে, অনেক বাত-ব্যথার রোগী বিশেষ করে যারা হাটু বা কোমর ব্যথায় আক্রান্ত, তারা এসময় সালাতুত তারাবিহ পড়তে বেশ অসুবিধায় পড়ে যান। তাই তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। অনেকেই বসে নামাজ পড়লে অস্বস্তি বোধ করেন, নিজেকে অপরাধী ভাবেন।
তাই ব্যথায় আক্রান্ত রোগীদের ফিজিওথেরাপি শুরু করুন। ফলে আপনি রোজার জন্য অনেকটা ফিট হয়ে যাবেন। রমজান মাসজুড়ে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নিতে পারেন। তাতে আপনি অনেক বেশি কর্মক্ষম থাকবেন।
যারা দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লে খুব বেশি সমস্যা বোধ করেন তারা চেয়ারে বসেই নামাজ পড়ুন। রমজান মাসে ব্যথার ওষুধ সেবনে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। কারণ সারাদিন রোজা রাখায় ব্যথার ওষুধ পাকস্থলীর প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে অথবা শরীর দুর্বল করে দিতে পারে। দীর্ঘদিন ব্যথানাশক সেবন করবেন না। ব্যথা নাশকের চেয়ে ফিজিওথেরাপি অনেক বেশি কার্যকর এবং নিরাপদ চিকিৎসা।
সাহরির পূর্বে আর ইফতারির দুই ঘণ্টা আগে অথবা পরে ব্যায়াম করুন। কোমরে বেল্ট পড়ে বা হাটুর ক্যাপ পড়ে নামাজ পড়বেন না, এতে অস্বস্থি আরও বাড়বে।
যাদের ওজন বেশি তাদের জন্য রমজান ওজন কমানোর একটি বিরাট নেয়ামত। পরিমিত খাবার গ্রহণ করে এই একমাসে ওজটা কমিয়ে নিতে পারেন।
যারা ব্যথা থাকা সত্ত্বেও স্বাভাবিক নিয়মে নামাজ আদায় করলে অসুবিধা বোধ করেন না, তারা স্বাভাবিক নিয়মেই নামাজ আদায় করুন। নিয়মিত ফিজিওথেরাপি ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে আপনার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে। তাই এই সময় একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ