রাক্ষুসে স্বভাবের পিরানহা মাছের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশে সরকার। এ দুটি মাছকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও দেশের বাজারে পিরানহা মাছ প্রকাশ্যে উৎপাদন ও খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ উদ্ধার করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পিরানহাকে থাই রূপচাঁদা বা সামুদ্রিক চান্দা নামে বিক্রি করা হয়। ভাবে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে কীভাবে চিনবেন রূপচাঁদা ও পিরানহা মাছের পার্থক্য, জেনে নিন-
১. পিরানহা মাছের তীক্ষ্ণ দাঁত দেখা যাবে।
২. এই মাছের কানকো থাকে। রূপচাঁদা মাছের কানকো মেশানো থাকে।
রূপচাঁদা মাছ
৩. পিরানহা মাছের লেজের কাছে ছোট আরেকটি পাখনা বা এডিপোজ পাখনা থাকে। রূপচাঁদা মাছের এমন কোনো পাখনা নেই।
৪. পিরানহার গায়ের রং কিছুটা লালচে ও ধুসর বর্ণের হয়। রূপচাঁদার মতো চকচকে থাকে না।
৫. পিরানহা মূলত স্বাদু পানির মাছ। রূপচাঁদা সামুদ্রিক মাছ।
৬. জীবিত পিরানহা মাছের স্বভাব রাক্ষুসে প্রকৃতির। রূপচাঁদা অনেক নিরীহ মাছ।
৭. পিরানহার রয়েছে ছোট শক্তিশালী চোয়াল। এর দুই পাটিতে ত্রিশূলের মতো দাঁত রয়েছে, যা এতটাই ধারালো যে শিকারের দেহ এক নিমেষে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ