দৈনন্দিন জীবনে কথা-বার্তার সময় আমরা নিজের অজান্তে বা অনেক সময় জেনে বুঝেও এমন অনেক বাক্য বলে থাকি, যার মাধ্যমে আমরা কুফরী এবং শিরকে লিপ্ত হয়ে যাই।
এর মধ্যে যে ১৬টি কুফরী বাক্য আমরা নিয়মিত বলে থাকি, তা নিয়েই আজ আলোচনা করবো।
এসব বাক্য বা কথাগুলো আমাদের ঈমান নষ্ট করে দিতে পারে। তাই আসুন আজ থেকে এসব বলা থেকে বিরত থাকুন।
(১) আল্লাহর সঙ্গে হিল্লাও লাগে!
(২) তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক ( ফুল চন্দন হিন্দুদের পূজা করার সামগ্রী)।
(৩) কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। (কেষ্ট হিন্দু দেবের নাম, আপনি কি তাকে পাওয়ার জন্য কষ্ট করছেন??)।
(৪) মহা ভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল। ( মহা ভারত একটি উপন্যাস যা সবসময় অশুদ্ধ)।
(৫) মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। (এটা ইসলামের নামে কটুক্তি করা)।
(৬) লক্ষী মেয়ে, লক্ষী ছেলে, বলা। ( লক্ষী হিন্দু দেবীর নাম তাই ইসলামে এ নামে কাউকে সম্মোদন করা হারাম)।
(৭) কোনো ওষুধকে জীবন রক্ষাকারী বলা। (জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর হাতে)।
(৮) দুনিয়াতে কাউকে শাহেনশাহ বলা। (এর অর্থ রাজাদের রাজা)।
(৯) নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলসী পাতা বলা। (তুলসীপাতা পূজার সামগ্রি, তাই একে পবিত্রতার প্রতিক মনেকরা হারাম)।
(১০) ইয়া খাজা বাবা, ইয়া গাউস, ইয়া কুতুব বলা। (এটি শিরক, সব থেকে বড় পাপ)।
(১১) ইয়া আলী, ইয়া রাসূল (সা.) বলে ডাকা ও সাহায্য প্রর্থনা করা। (আল্লাহ ব্যতীত পৃথিবীতে কাউকে ডাকা শিরক)।
(১২) বিসমিল্লাহয় গলদ বলা। (এটি সরাসরি কুফরী)।
(১৩) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া একথা বলা। (কুফরী বাক্য সাবধান!)।
(১৪) মধ্যযুগী বর্বরতা বলা। ( মধ্যযুগ ইসলামের স্বর্নযুগ)।
(১৫) মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না। ( ইসলাম ধ্বংসকারী মতবাদ)।
(১৬) নামাজ না পড়লে ঈমান ঠিক আছে বলা। ( ইসলাম থেকে বের করার মূলনীতি)।
হে মুসলিম! আসুন আমরা নিজে ও নিজের পরিবারকে সচেতন করি। এই বাক্যগুলো আপনি যেকোনো ভাবে প্রচার করুন। আপনার একটা শেয়ার, কতো মানুষ এই কুফরী বাক্য জানতে পারবে তা কী ভাবা যায়!
যাযাকাল্লাহ খায়ের। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এ জাতীয় বাক্য বা কথা বলা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। এবং অতীতের এ সবের জন্য ক্ষমা করুন। আমিন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ