শতবার রকেট উৎক্ষেপণের মাইলফলক স্পর্শ করলো এলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে স্টারলিংক স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমেই নতুন মাইলফলক অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে।
এলন মাস্কের প্রজেক্ট স্টারলিংকের অংশ হিসেবে শনিবার ৬০টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হয়। ফ্যালকন ৯ রকেটে করে ৬৩ মিনিটে কক্ষপথে এগুলো পৌঁছে গেছে। এ নিয়ে ১০০ বার রকেট উৎক্ষেপণ করলো প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে ৯৫ বার উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ফ্যালকন ৯। এছাড়া ফ্যালকন হ্যাভি তিন বার ও ফ্যালকন ১ দুইবার করে মহাকাশে পাঠিয়েছে স্পেসএক্স।
স্টারলিংক প্রজেক্টের সাফল্য শতভাগ নয়, ব্যর্থতাও আছে। এ পর্যন্ত ফ্যালকন ১ এর উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে তিন বার। ফ্যালকন ৯ এর উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে এক বার। এছাড়াও, ২০১৬ সালে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানোর সময় একটি ফ্যালকন ৯ রকেটে আগুন ধরে।
তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে স্টারলিংকের অন্তত তিন শতাংশ স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে! এর ফলে মহাকাশযান ও নভোচারীরা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
হার্ভার্ড স্মিথসোনিয়ান সেন্টার অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের নভোচারি জনাথন ম্যাকডুয়েলের সংগ্রহ করা উপাত্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। উপাত্ত অনুযায়ী অন্তত তিন শতাংশ স্যাটেলাইটের উপর স্পেস এক্সের নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্পেসএক্স।
স্পেসএক্স-এর দাবি স্টারলিঙ্ক প্রকল্পের প্রতিটি স্যাটেলাইট কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নিয়ে পৃথিবী অভিমুখে পতিত করা যায়। যার ফলে মহাকাশে কোনো বর্জ্যের সৃষ্টি হয় না। তারা আরও দাবি করেন, কোনো স্যাটেলাইট কক্ষপথ থেকে সরে গেলেও সেটির অন্য স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা প্রতি ১০ বছরে এক শতাংশেরও কম।
স্পেসএক্স জানায়, কক্ষপথে তারা ১২ হাজারের মতো স্যাটেলাইট পাঠাতে চায়। অধিকাংশ স্যাটেলাইট পৃথিবী থেকে ১ হাজার কিলোমিটার উপরে থাকে। কিন্তু স্টারলিং স্যাটেলাইটগুলো থাকে অনেক নিচে, প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়। প্রথাগত স্যাটেলাইটের চেয়ে তাদের এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বেশি গতির ইন্টারনেট পাওয়া যাবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ