শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়গুলো

ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়গুলো

যে কোনও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রথম যে কাজটা করতে হয়, তা হল নিজের রোগ প্রতিরোধক সৈনিকদের শক্তিশালী করে তোলা। আর এই কাজটি দারুনভাবে করে থাকে আমাদের আশে-পাশের কিছু খাদ্য ও ব্যায়াম।

১. তুলসি পাতা: যে কোনও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রথম যে কাজটা করতে হয়, তা হল নিজের রোগ প্রতিরোধক সৈনিকদের শক্তিশালী করে তোলা। আর এই কাজটি দারুনভাবে করে থাকে তুলসি পাতা। প্রতিদিন সকালে যদি পাঁচটা করে তুলসি পাতা খাওয়া যায়, তাহলে নিমেষে ইমিউনিটি লেভেল বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে শুধু ইনফ্লয়েঞ্জা ভাইরাস নয়, কোনও ধরনের জীবাণুই শরীরে বাসা বাঁধার সুযোগ পায় না।

২. গুলঞ্চ: চিকিৎসা পরিভাষায় টিনোসপোরা কার্ডিফোলিয়া নামে পরিচিত এই গাছটি সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এক ফুট লম্বা গুলঞ্চের শাখা নিয়ে তার সঙ্গে ৫-৬টা তুলসি পাতা একসঙ্গে গরম পানিতে ফুটিয়ে যদি সেই পানিটা পান করা যায়, তাহলে এইচ১ এন১ ভাইরাস থেকে অনেকাংশেই দূরে থাকা সম্ভব হয়। এখন প্রশ্ন হল কিভাবে বানাবেন এই পানীয়টি? এক্ষেত্রে দুটি প্রকৃতিক উপাদানকে কম করে ১৫-২০ মিনিট পানিতে ফোটানোর পর পানিটা ছেঁকে নিতে হবে। তারপর সেই পানিতে পরিমাণ মতো গোলমরিচ এবং সন্ধক লবণ মিশিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থায় পান করলে উপকার মিলবে।

৩. কপপুর: ছোট ট্যাবলেটের আকারের কপপুর যদি মাসে ১-২ বার খাওয়া যায়, তাহলে এক্ষেত্রে দারুন উপকার মিলতে পারে। আসলে পানির সঙ্গে মিশিয়ে কপপুর খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে থাকে যে রোগ ভোগের আশঙ্কা হ্রাস পায়। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে ভুলেও প্রতিদিন কপপুর খাওয়া চলবে না। মাসে একবার কী দুবার খেলেই উপকার মিলবে।

৪. রসুন: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দু-কোয়া রসুন, হালকা গরম পানির সঙ্গে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়, ফলে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশেই হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, রসুন কেবল মাত্র ভাইরাসের আক্রমণ থেকেই বাঁচায় না, সেই সঙ্গে হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. গরম দুধ: দুধে অ্যালার্জি নেই তো? তাহলে প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হলকা গরম দুধে অল্প করে হলুদ মিশিয়ে পান করা শুরু করুন। দেখবেন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে তো বাঁচবেনই, সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ জটিল রোগ থেকেও দূরে থাকা সম্ভব হবে।

৬. অ্যালোভেরা: প্রতিদিন এক চামচ অ্যালোভেরা জেল পানির সঙ্গে গ্রহণ করলে ত্বকের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি বাতের ব্যথাও কমে। এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে যে অ্যালোভেরা জেল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে দারুন কাজে আসে। ফলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে সঙ্গে রাখলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ ভাইরাস ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

৭. প্রাণায়াম: শুনতে একটু আজব লাগছে, কি তাই তো? কিন্তু বিশ্বাস করুন, নিয়মিত যোগব্যায়াম প্রাণায়াম করার অভ্যাস করলে নাক, গলা এবং ফুসফুসের কর্মক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি শরীরের সার্বিক সচলতাও বাড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ জীবনের পথ প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, নিয়মিত জগিং বা দৌড়ালেও একই উপকার পাওয়া যায়।

৮. সাইট্রাস ফল: এই ধরনের ফলে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, কমলা লেবু, লেবু এবং মৌসাম্বি লেবুকে সাধারণত সাইট্রাস ফল হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই