শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বৈদেশিক ঋণের নীতিমালা শিথিল

বৈদেশিক ঋণের নীতিমালা শিথিল

বৈদেশিক ঋণ নিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পণ্য আমদানির অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে মূল্য ফেরতের নিশ্চয়তা (রিপেমেন্ট গ্যারান্টি) ১০ হাজার ডলারের ওপরে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এখন বৈদেশিক ঋণ নিয়ে যেকোনো অঙ্কের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।

তবে সব ক্ষেত্রে মূল্য ফেরতের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জানা গেছে, বিদেশ থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। দেশীয় উদ্যোক্তারা বিদেশি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশেই ক্রেতাদের পরিশোধ করে থাকেন। এটাকেই ব্যাংকিং ভাষায় ব্যায়ার্স ক্রেডিট বলা হয়। বর্তমানে বেসরকারি খাতে এ বায়ার্স ক্রেডিটের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলারের ওপরে, যা স্থানীয় মুদ্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের নীতিমালায় এসব ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। বিশেষ করে পণ্যের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না। অগ্রিম মূল্য হলো বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেউ পণ্য আমদানি করবেন। এ ক্ষেত্রে পণ্য দেশে আসার আগেই অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করতে হয়। সাধারণত পণ্য আমদানিতে ১০ হাজার ডলারের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এর কারণ হিসেবে ওই সূত্র জানিয়েছে, পণ্য দেশে আসার আগেই অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা হলো, কিন্তু পণ্য দেশে এলো না বা সরবরাহকারী পণ্য সরবরাহ করল না, অথচ বৈদেশিক মুদ্রায় দায় সৃষ্টি হলো, এ অসুবিধা দূর করতেই পণ্য অগ্রিম মূল্য ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

সাধারণত ১০ হাজার ডলারের ওপরে হলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এতে সময়ক্ষেপণ হলেও বৈদেশিক মুদ্রার দায় বাড়ানোর ঝুঁকি অনেক কমে যেত। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ব্যবসা সম্প্রসারণের দাবি তুলে এ নীতিমালা শিথিল করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দেওয়া নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদেশি ঋণের মাধ্যমে পণ্য আমদানির অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। তবে সব অঙ্কের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের আগে মূল্য ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা নিতে হবে।

কখনো বিদেশি সরবরাহকারী পণ্য সরবরাহ না করলেও অর্থ ফেরত পাওয়ায় নিশ্চয়তা থাকে- এ জন্যই নতুন এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় মুদ্রাবাজার থেকে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে ঋণ। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় পণ্য আমদানির দায় পরিশোধ করা সমস্যা হচ্ছে না। এর পরও একশ্রেণীর ব্যবসায়ী বিদেশি ঋণের দিকেই ঝুঁকে পড়ছেন। তারা বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশি কোম্পানিকেই পরিশোধ করছেন। বিপরীতে নির্ধারিত মেয়াদ শেষে সুদে আসলে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে দেশে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা মুনাফা আকারে চলে যাচ্ছে। অথচ স্থানীয় বাজার থেকে ঋণ নিলে এর বিপরীতে পরিশোধকৃত মুনাফা দেশেই থেকে যেত।

বৈদেশিক ঋণ নিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পণ্য আমদানির অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে মূল্য ফেরতের নিশ্চয়তা (রিপেমেন্ট গ্যারান্টি) ১০ হাজার ডলারের ওপরে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এখন বৈদেশিক ঋণ নিয়ে যেকোনো অঙ্কের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। তবে সব ক্ষেত্রে মূল্য ফেরতের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, বিদেশ থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। দেশীয় উদ্যোক্তারা বিদেশি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশেই ক্রেতাদের পরিশোধ করে থাকেন। এটাকেই ব্যাংকিং ভাষায় ব্যায়ার্স ক্রেডিট বলা হয়। বর্তমানে বেসরকারি খাতে এ বায়ার্স ক্রেডিটের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলারের ওপরে, যা স্থানীয় মুদ্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের নীতিমালায় এসব ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। বিশেষ করে পণ্যের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না। অগ্রিম মূল্য হলো বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেউ পণ্য আমদানি করবেন। এ ক্ষেত্রে পণ্য দেশে আসার আগেই অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করতে হয়।

সাধারণত পণ্য আমদানিতে ১০ হাজার ডলারের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এর কারণ হিসেবে ওই সূত্র জানিয়েছে, পণ্য দেশে আসার আগেই অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা হলো, কিন্তু পণ্য দেশে এলো না বা সরবরাহকারী পণ্য সরবরাহ করল না, অথচ বৈদেশিক মুদ্রায় দায় সৃষ্টি হলো, এ অসুবিধা দূর করতেই পণ্য অগ্রিম মূল্য ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সাধারণত ১০ হাজার ডলারের ওপরে হলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এতে সময়ক্ষেপণ হলেও বৈদেশিক মুদ্রার দায় বাড়ানোর ঝুঁকি অনেক কমে যেত। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ব্যবসা সম্প্রসারণের দাবি তুলে এ নীতিমালা শিথিল করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দেওয়া নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদেশি ঋণের মাধ্যমে পণ্য আমদানির অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। তবে সব অঙ্কের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের আগে মূল্য ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা নিতে হবে। কখনো বিদেশি সরবরাহকারী পণ্য সরবরাহ না করলেও অর্থ ফেরত পাওয়ায় নিশ্চয়তা থাকে- এ জন্যই নতুন এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় মুদ্রাবাজার থেকে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে ঋণ। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় পণ্য আমদানির দায় পরিশোধ করা সমস্যা হচ্ছে না। এর পরও একশ্রেণীর ব্যবসায়ী বিদেশি ঋণের দিকেই ঝুঁকে পড়ছেন। তারা বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশি কোম্পানিকেই পরিশোধ করছেন। বিপরীতে নির্ধারিত মেয়াদ শেষে সুদে আসলে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে দেশে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা মুনাফা আকারে চলে যাচ্ছে। অথচ স্থানীয় বাজার থেকে ঋণ নিলে এর বিপরীতে পরিশোধকৃত মুনাফা দেশেই থেকে যেত।

 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই