শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘দেশ করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত জনগণের পাশে আওয়ামী লীগ’

‘দেশ করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত জনগণের পাশে আওয়ামী লীগ’

করোনাকালীন সংকট নিয়ে বিশেষ ওয়েবিনার ‘বিয়ন্ড দ্যা প্যানডেমিক’ এর নবম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ জুলাই শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় এই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বরাবরের মতোই পর্বটি সরাসরি প্রচারিত হয় আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।

এবারের পর্বের আলোচনার বিষয় ‘করোনা সংকট মোকাবিলায় তৃণমূলের ভূমিকা’। এই সঙ্কটে মানুষকে সচেতন করতে আওয়ামী লীগের পদক্ষেপ, করোনা চিকিৎসা নিয়ে গুজব মোকাবেলা, দলের জনপ্রতিনিধিদের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বার্তা, ঘূর্ণিঝড় আম্পান পূর্বাভাস পাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে কর্মহীনদের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে যুক্ত হন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, ভোলা- ৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, কক্সবাজার- ২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, খুলনা- ৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু এবং বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

আলোচনায় যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের সমন্বয় করে রিলিফ কার্যক্রম কমিটি গঠন, রিলিফ প্রদানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা থেকে শুরু করে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কার্পণ্য করেনি। আওয়ামী লীগের দুর্দিনের নেতা-কর্মীরা মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে রিলিফ কার্যক্রম এখন পর্যন্ত পরিচালনা করছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশ ও দলের দুর্দিনে আওয়ামী লীগের তৃনমূল কর্মীরা বারবার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সমগ্র আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের এই দুর্দিনের নেতা কর্মীরাই সবার আগে এগিয়ে এসেছেন। আমাদের দলীয় জনপ্রতিনিধিরা তৃনমূলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে জনগণের পাশে থেকেছে, এখনও আছে। করোনামুক্ত বাংলাদেশ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা ও জনপ্রতিনিধিরা যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, ‘একজন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আমার সাংগঠনিক এলাকার উপজেলা ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমাদের তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে। এছাড়া আমাদের সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিরা নিজস্ব এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ মিলিয়ে মানুষের পাশে থেকেছে। আমরা কেন্দ্র থেকে সবকিছু সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী সারাদেশের তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিই হলো অসহায় মানুষের পাশে থাকা, পাশে দাঁড়ানো, মানুষকে সহায়তা করা। আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকে তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা সব সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

আলোচনায় যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আপনারা জানেন চট্টগ্রাম ইতিমধ্যে করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান। আসলে করোনা মোকাবেলা করার জন্য যে প্রস্তুতি তা কোথাও ছিলো না, স্বাভাবিক কারণে বাংলাদেশে সহ চট্টগ্রামে কোথাও ছিলো না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সুনিপুণ নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য যে ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন ইতিমধ্যে তিনি সব গ্রহণ করেছেন।’

‘চট্টগ্রামে আপনারা জানেন আমরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রচুর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। কোভিড-১৯ একটি সংক্রামক ব্যাধি। প্রথম দিকে মানুষের মাঝে ব্যাপক ধারণা ছিলো, একটা হাসপাতালে কোভিড এবং নন-কোভিড চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। সেই ধারণাটা চট্টগ্রামে খুব কাজ করেছিলো। শুরু দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫০ শয্যা নিয়ে আমরা করোনার চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, ধীরে ধীরে শয্যা সংখ্যা বাড়তে বাড়তে সেখানে এখন ১৬০টি শয্যা রয়েছে, সাথে যুক্ত হয়েছে ১০ শয্যার আইসিউ সেবা, চট্টগ্রাম মেডিকেলে ও প্রথমে স্বল্পসংখ্যক বেড নিয়ে শুরু করলেও এখন সেখানে ১৫০ টি আইসোলেশন সেবাসহ আইসিইউ সেবা চালু হয়েছে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আরো একাধিক হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার সাথে যুক্ত করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল গুলো সরকারের নির্দেশে এখন সেবা দিচ্ছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি যেহেতু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি সেই হিসেবে স্বাভাবিক কারণে আমার উপর নির্ভর করে দলের ভাবমূর্তি, দলের গ্রহণযোগ্যতা এবং পাশাপাশি সরকারের একটা ভাবমূর্তি নির্ভর করে। সেই কারণে আমি প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়ে, অগ্রাধিকার দিয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একদম শুরু থেকে চট্টগ্রামের রাজপথে, চট্টগ্রামে ৪১টি ওয়ার্ডে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে গিয়েছি।’

ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি বলেন, ‘এই দুর্যোগে যেভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত দ্বীপ জেলা ভোলা বাসীর খোঁজ নিয়েছেন, আমি তার নিকট ভোলা ৪ আসনের জনগণের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। করোনা সংকটের এই মহামারিতে ডাক্তাররা কাজ করে যাচ্ছে, আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখছি। আমরা অনেক দুর্যোগ দেখেছি, কিন্তু করোনার মত নতুন দুর্যোগ এই বারেই প্রথম। নতুন এই দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না, কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি এই সংকট মোকাবিলায়।’

‘আমরা ছিলাম ঐক্যবদ্ধ জাতি, কিন্তু করোনা শিক্ষা দিয়েছে একে অপরের দূরে থাকার। আমরা চেষ্টা করছি এই সংকট মোকাবিলায়। করোনা সংকটের এই সময়ে আমরা আমাদের নির্বাচনী এলাকায় সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সাহায্য কার্যক্রম চালিয়েছি কর্মহীন মানুষের জন্য। আমার নির্বাচনী এলাকায় কর্মহীন মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। আমরা উপকূলীয় লোকজন দুর্যোগে যেভাবে সংগ্রাম করে এখানে বেঁচে থাকি তা সবসময়ই আপনারা জানেন। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়। ঈদকে সামনে রেখে আমরা কর্মহীন মানুষের বাড়ী বাড়ী খাদ্য ও ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছি। আমি মনে করি দুর্যোগে আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে সব সময় ছিল, থাকবে।’

খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জনপদ পাইকগাছা কয়রায় করোনা শনাক্ত হবার পর থেকে আমরা কাজ করেছি। আজকে এই করোনার সময়ে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি আমার দুই উপজেলার নেতাদের নিয়ে। আমরা মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনসহ মন্দিরে আমরা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের ১০টি ইউনিয়ন এখনো আংশিক পানিবন্দি। ২টি ইউনিয়ন পানিতে আটকে আছে। আমাদের বেড়ীবাদ গুলো অনেক পুরানো। কিন্তু টেকসই বেড়ীবাঁধ হয় নাই। এবার কয়েক শত কি.মি. বেড়ীবাঁধ বিলীন হয়ে যায়, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর দিকে না তাকিয়ে নিজ উদ্যোগে কাজ করেছি সকলে মিলে। জনগণকে সাথে নিয়ে সংকটের এই দিনে আমরা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছেন আমাদের টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দিবেন। উপকুলের মানুষ ত্রাণ চায় না বেড়িবাঁধ চায়।’

কক্সবাজার- ২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরেই উপকূলে সিসি ব্লকের কাজ করা হয়। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ আমরা ইতিমধ্যে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। করোনা মোকাবিলায় আমরা একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। আমাদের প্রত্যেক নেতা-কর্মী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা তৃনমূলের মানুষদের পাশে ছিলাম সবাই মিলে। রোহিঙ্গা সংকটের সময় কক্সবাজারে ছুটে আসেন আমাদের মমতাময়ী নেত্রী তাদের দেখার জন্য। কোভিড-১৯ সেখানে এখন পর্যন্ত ৫২ জন আক্রান্ত। সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।’

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই