বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশে আর কেউ না খেয়ে থাকবে না

দেশে আর কেউ না খেয়ে থাকবে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে, কাজেই এ দেশে আর কোনো দিন কেউ না খেয়ে থাকবে না।

গতকাল শুক্রবার সকালে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে সোনারগাঁও হোটেলে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তাটা যেন নিশ্চিত থাকে এবং প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন খাবার পৌঁছে সে জন্য হতদরিদ্রের মাঝে আমরা বিনা পয়সায় খাবার দিয়ে যাচ্ছি এবং এটা আমরা সব সময় অব্যাহত রাখব। একটি মানুষও যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়। একটি মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ যাতে চিকিৎসাসেবা পায় সে জন্য তাদের দোরগোড়ায় আমরা চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিচ্ছি, কেউ পুষ্টিহীনতায়ও ভুগবে না, সে জন্য মায়েদেরও আমরা মাতৃত্বকালীন আর্থিক সাহায্য দিচ্ছি, সদ্যঃপ্রসূত মা বা যাঁরা ব্রেস্ট ফিডিং করান তাঁদেরকেও আমরা আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি, বিশাল সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের যে কর্মসূচি রয়েছে তার মাধ্যমেও আমরা আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে যাতে পুষ্টির নিশ্চয়তা হয় এবং মানুষ যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়—সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন এই বিশ্বকে আমরা ক্ষুধামুক্ত করি এবং জাতির পিতা যে চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমরা তা অর্জন করতে পারব।’

গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী এবং তারা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো ক্ষমতা রাখে। এই করোনার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়, বন্যা—সবই আমরা মোকাবেলা করে যাচ্ছি। এভাবে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করেই আমাদের বাঁচতে হবে।’

তাঁর সরকারের প্রতিটি কাজের লক্ষ্য কৃষকদের সুবিধা প্রদান করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই যখনই বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে তখনই আমরা খাদ্য উৎপাদনে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিশ্চয়তা বিধানের উদ্যোগ নিয়েছি।’

‘বাংলাদেশের মানুষ যেন কোনো কষ্ট ভোগ না করে সে জন্য তাঁর সরকার নানা প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রণোদনার প্যাকেজ অনুযায়ী কৃষকদেরকেই সব থেকে বেশি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। যাতে তারা তাদের সাধারণ কাজগুলো (কৃষিকাজ) ভালোভাবে চালাতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এক ইঞ্চি জমিও কেউ ফেলে না রেখে বৃক্ষ, ফলমূল, তরিতরকারি যা কিছুই হোক না কেন যেন উৎপাদন করে।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয় উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (এফএও) প্রতি বছর এই দিবসটি উদ্যাপন করে থাকলেও সংস্থাটির ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজকের দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্ব খাদ্য দিবসে আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) সম্প্রতি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় সংস্থাটিকেও প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কিউ ডংইউর আগে ধারণ করা একটি ভাষণ প্রচার করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাউল হাসান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রের সাফল্যের ওপর একটি ভিডিওচিত্রও প্রদর্শিত হয়।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

শাহজাদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা
সিরাজগঞ্জে পুরোদমে চলছে কৃষিবান্ধব সোলার প্রকল্পের কাজ
সিরাজগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
বেলকুচিতে বিএসটিআই অনুমোদন না থাকায় টেক্সটাইল মিলকে জরিমানা
বেলকুচিতে পুষ্টি বিষয়ক সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
গবেষণায় আরো জোর দিতে বললেন কৃষিমন্ত্রী
রংপুর ও ভোলার চরের মানুষদের সুখবর দিলেন পরিবেশমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক