ঘাসের উপর শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে শীত আগমনের বার্তা। সেই সঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডা-কাশির প্রকোব। অন্যদিকে রয়েছে মহামারির ভয়। এমন সময়ে সুস্থ থাকতে সবাইকে নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
এই শীত গরমের আবহাওয়ার খেলায় হতে পারে কাশি। অনেকেই আছেন এই সময়টাতে খুশখুশে কাশিতে ভোগেন। এটি হতে পারে ঠান্ডা-গরমে কিংবা ধুলাবালির কারণেও। শীতের সময় অনেকের অ্যালার্জি বেড়ে যায়। সে কারণেও এমনটা হতে পারে।
বিরক্তিকর খুশখুশে কাশি ঘরোয়া কিছু উপায়েই দূর করতে পারেন। এসব উপায়ে মাত্র দুইদিনেই কাশি কমে যাবে। তবে আপনাকে নিয়মিত উপায়গুলো মানতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে দূর করতে পারেন খুশখুশে কাশি-
> আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তবে এই সমস্যা দেখা দেয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। খুশখুশে কাশি কমাতে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন।
> ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে কাশি কমাতে আদার রস পানিতে ফুটিয়ে মধু দিয়ে খেতে পারেন। অন্যান্য চা বা কফি খেলে খুশখুশে কাশি কমে না। বরং আরো বেড়ে যেতে পারে। কেননা কফি খাওয়া হলে তা গলা শুকিয়ে ফেলে।
> কাশির সমস্যায় যারা ভুগছেন তবে তেলে ভাজাপোড়া খাবার অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কারণ তেল কাশি বাড়িয়ে দেয়। কড়া ভাজা খাবারও এ সময় এড়ানো উচিত, কারণ তা কাশিবর্ধক ও গলা চুলকানোর জন্য দায়ী।
> প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ভালো নয়। এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় এবং শরীরের সুরক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে। সাদা পাস্তা, সাদা রুটি, চিপস, প্যাকেটজাত খাবার কাশির সময় অবশ্যই বাদ দিতে হবে।
> শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় অ্যালকোহল। এটি শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে বলে এ পানীয় ঠান্ডার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই খুশখুশে কাশি হলে অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
> কাশি হলে আইসক্রিম বা শীতল পানীয়ের মতো কোনো ঠান্ডা খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এটি শ্বাসনালি শুষ্ক করে ফেলে এবং প্রদাহ তৈরি করে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ