অনেকেই আছেন যাদের চায়ের সঙ্গে ধূমপান করার মতো বদ অভ্যাস রয়েছে। এতে সিগারেট এবং চা খাওয়ার মজা দ্বিগুণ বেড়ে যায়, এমনটাই তাদের ধারণা। কিন্তু এই অভ্যাস আপনার জন্য কত বড় ক্ষতি ডেকে আনছে সে সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য এমনিতেই ক্ষতিকর। তার উপরে আবার চায়ের সঙ্গে ধূমপান করলে ক্ষতির হওয়ার মাত্রা বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
এই অভ্যাসে না জেনেই অনেকেই নিজের শরীরের সর্বনাশ ডেকে আনছেন। বেশিরভাগ মানুষই হাতে গরম চায়ের কাপ নিয়ে, ঠোঁটে রাখেন জ্বলন্ত সিগারেট। গবেষণা বলছে, এ ধরণের অভ্যাস বাড়াতে পারে ক্যন্সারের ঝুঁকি।
বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা দিনে অন্তত এক গ্লাস অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করেন এবং পাশাপাশি দিনে অতিরিক্ত গরম চা পান করেন, তাদের ক্ষেত্রে খাদ্যনালীতে ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রতিদিন অতিরিক্ত গরম চা পান করলে অনেকাংশেই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
সম্প্রতি অ্যানালস অব ইন্টার্নাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে ব্যক্তিরা নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গরম চা পান করাটা খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তামাক ও অ্যালকোহল দু’টো থেকেই দূরে থাকা আবশ্যক। তাহলে রক্ষা পাওয়া যাবে ক্যান্সার থেকে। তবে ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস না থাকলে শুধু চা পান করা নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই।
এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস না থাকলে শুধু চা পান করা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। ৩০ বছর থেকে ৭৯ বছর বয়সী সাড়ে ৪ লাখ ব্যক্তির উপরে করা সমীক্ষা থেকে গবেষকরা ভয়াবহ এই তথ্য খুঁজে পেয়েছেন।
তাদের ধূমপান, মদ্যপান এবং চা পান অভ্যাসের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল এই গবেষণার জন্য। গবেষণার শুরুতে তাদের কারও ক্যান্সার ছিলো না। এই সাড়ে ৪ লাখ মানুষের তথ্য নেয়া হয় পরবর্তী ৯ বছর।
এদের মধ্যে ১৭৩১ জনের ইসোফ্যাজিয়াল ক্যান্সার দেখা দেয় ওই সময়ের মধ্যে। যারা অতিরিক্ত গরম চা বা মদ্যপান করেন এবং পাশাপাশি ধূমপান করেন, তাদের ইসোফ্যাজিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে পাঁচগুণ বেশি।
সূত্র: সিএনএন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ