শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দ ২০৭ কোটি টাকা

করোনা প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দ ২০৭ কোটি টাকা

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এ সংক্রান্ত প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুকূলে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আওতায় এ বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে দুটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। শর্ত দুটি হল- প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ অর্থ অনুমোদিত বিনিয়োগ প্রকল্পের অনুমোদিত অঙ্গে সংস্থান অনুযায়ী ব্যয় করতে হবে।

এছাড়া অর্থ ব্যয়ে সব আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। শুধু তাই নয় প্রথম থেকে চতুর্থ কিস্তির অর্থ একবারেই ছাড় করার পক্ষেও মত দিয়েছে সংস্থাটি। অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি অবহিত করতে ২৮ মে অর্থ বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ।

এ বরাদ্দ নিশ্চিত হওয়ায় প্রকল্পের আওতায় করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে নির্বাচিত হাসপাতালে পরীক্ষা সুবিধা বৃদ্ধি, করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণসহ নানা সুবিধা দেয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন রোববার বলেন, করোনা মোকাবেলায় এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ বিবেচনায় বিশেষ প্রয়োজনের উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মোট বরাদ্দের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য থেকে ১৬৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা দেয়া হবে। বরাদ্দের আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নেয়া হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি অবহিত করতে চিঠি দিয়েছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রয়োজনে পুরো অর্থ একসঙ্গে ছাড় করার সম্মতি দেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, লকডাউন চলায় ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস’ শীর্ষক প্রকল্পটির বিশেষ অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকা।

এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের দেয়া সহজ শর্তের ঋণ থেকে ১০ কোটি ডলার বা প্রায় ৮৫০ কোটি ও বাকি ২৭৭ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করার লক্ষ্য রয়েছে।

এদিকে দীর্ঘ আড়াই মাস পর মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে এ প্রকল্পটি।

পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেন, যেহেতু জরুরি প্রয়োজনে প্রকল্পটি অনুমোদন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এখন সেটি আবার একনেকে অবগতির জন্য উপস্থাপন করা হবে।

সেখানে প্রকল্পটির বর্তমান অবস্থা ও এটি সম্পর্কে কোনো সুপারিশ থাকলে সেগুলো গ্রহণ করে একনেকের রেজুলেশন ভুক্ত করা হবে। সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সম্প্রতি করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কোভিড-১৯ প্রতিরোধসংক্রান্ত জরুরি ভিত্তিতে তহবিল ছাড় করার অংশ হিসেবে এ অর্থ বাংলাদেশকে দিচ্ছে সংস্থাটি। ফাস্ট ট্র্যাক সহায়তা প্যাকেজ থেকে এ ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।

বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেছিলেন, করোনার বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। ঋণের এ অর্থ করোনা প্রতিরোধে দেশের জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই