বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা পজিটিভের পর যেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর

করোনা পজিটিভের পর যেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর

করোনাভাইরাস এলাকায় আতঙ্কের নাম। মুহূর্তের মধ্যেই এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একটি শব্দ “পজিটিভ” যে মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে, তার সাক্ষী আমি। করোনা নিয়ে গ্রামে অবস্থান করায় আমার অভিজ্ঞতাটা অন্য রকম। করোনার পাশাপাশি মানুষের সঙ্গেও যুদ্ধ করতে হয়েছে আমাকে। সুস্থ থাকার পরও নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ মনে হচ্ছিল।’

গতকাল শুক্রবার তৃতীয় দফায় নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হারুনুর রশিদ এখন পুরোপুরি সুস্থ। করোনাজয়ী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতায়ও যুক্ত। এখন তাঁর ইচ্ছা চিকিৎসকের পরামর্শে নিজের প্লাজমা অন্য করোনায় সংক্রমিত রোগীর জন্য দেওয়ার।

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘নমুনা দেওয়ার ৯ দিন পর ১৩ মে প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ মোবাইলের শব্দে ঘুম ভাঙে। ওপাশ থেকে ফেনী সদর হাসপাতালের আরএমও জানালেন, আমার কোভিড-১৯ পজিটিভ। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে গেল। পজিটিভ ফলাফল জানানোর পর তারা মায়ের নমুনা নিয়ে যায়। জানালা দিয়ে লক্ষ করলাম, আমার বাড়ির সামনে লোকজন জড়ো হচ্ছে। আমাকে নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা বলছে। স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে আমার ইউনিয়নের নাম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত লিখে নিউজ করেছে। তাতেই সবাই ধরে নিয়েছে এটা আমি। এরপর একে একে থানা, ইউএনও অফিসসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসতে থাকে। সবাইকে যথাসম্ভব বিষয়টা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি।’

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বন্ধু যারা আমার সঙ্গে মিশেছে, তারা নানাভাবে সমস্যার মুখোমুখি হতে থাকে। আমার বাড়ির সামনে ভিড় জমে যায়। গুজব চলে, পুলিশ আমাকে ঢাকা নিয়ে গেছে আবার কেউ বলে থানায় নিয়ে গেছে ইত্যাদি। ওই দিন রাতেই স্থানীয় প্রশাসন আমাদের বাড়ির সামনে দুটি লাল পতাকা ঝুলিয়ে বাড়ি লকডাউন করে। নিজেকে মানসিকভাবে অসহায় মনে হচ্ছিল। সেদিন সুস্থ থাকার পরেও নিজেকে অসুস্থ মনে হচ্ছিল। পরে আমার আম্মু এবং বন্ধু, সবার করোনা নেগেটিভ আসে।’

হারুন জানান, ক্যাম্পাস বন্ধের পর গত ১৯ মার্চ তিনি গ্রামের বাড়ি চলে যান। দেড় মাস পরে গত ১ মে থেকে হালকা গলাব্যথা, জ্বর এবং লাল লাল হয়ে হাত-পায়ে চুলকাচ্ছিল। পয়লা মে করোনা উপসর্গে প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় ৪ মে ফেনী সদর হাসপাতালে ফ্লু কর্নারে চিকিৎসকের পরামর্শে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে আসেন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে থাকেন আর নিজেকে কোয়ারেন্টিনে রেখে ৩/৪ দিনেই সুস্থতা অনুভব করেন।

করোনাজয়ী এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘নমুনা দেওয়ার পর হোম আইসোলেশনে একটা রুমে নিজেকে আলাদা করে ফেলি। ফলে মা সুস্থ থাকতে পেরেছেন। করোনা প্রতিরোধে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা থাকা জরুরি। করোনার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা হলো মনোবল ঠিক রাখতে হবে। আশপাশের মানুষের কথায় কান না দিয়ে চিকিৎসকের নির্দেশনামতো চলতে হবে। আশপাশে কারও করোনা হলে তাঁকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই