প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে দেশের আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী গৃহীত পদক্ষেপগুলো অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এরমধ্যে শিল্প উৎপাদন, কর্মসংস্থান, সেবা খাত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ও পর্যটনের মতো খাতগুলো বেশি প্রভাবিত হয়েছে।
করোনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কী পরিমাণ প্রভাব পড়বে এখনই সঠিকভাবে অনুমান করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সংকটকালে সবাইকে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধিও আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাব্য এই বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক সংকট হতে উত্তরণের জন্য রপ্তানি খাতের পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমি সকলকে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশা করি, পূর্বে এবং আজকে ঘোষিত আর্থিক সহায়তার প্যাকেজসমূহ দ্রুত বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতি পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবে এবং আমরা কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।’
আলোকিত সিরাজগঞ্জ