শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়ন কাজে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক চায় `ইউজিসি`

উন্নয়ন কাজে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক চায় `ইউজিসি`

দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প কার্যক্রমকে বেগবান করতে উপাচার্যদেরকে সরকারের বিধি ও প্রক্রিয়া মেনে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরো গতিশীল পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানান।  

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক নেই। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী প্রকল্প পরিচালক দিয়ে কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক না থাকায় প্রকল্পের স্বাভাবিক গতি বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগ দানের ব্যাপারেও পরামর্শ দেন।

ইউজিসিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কাজী শহীদুল্লাহ এসব কথা বলেন। ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান এবং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান প্রকল্পের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর শহীদুল্লাহ বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্পের অর্থ দিয়ে বেতন ভাতা প্রদান ও আসবাবপত্র কেনা হচ্ছে। এক প্রকল্পের অর্থ অন্য প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সরকারের বিধি-বিধান মেনে প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ে পরামর্শ দেন।

প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে, গুণগত ও মানসম্পন্নভাবে শেষ করার আহ্বান জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনোভাবেই প্রকল্পের ব্যয় যাতে বেড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সভাপতির ভাষণে প্রফেসর আলমগীর বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩,১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তিনি সরকারে নিয়ম-নীতি মেনে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পসমূহের কাজ সমাপ্তের আহ্বান জানান। কর্ম পরিকল্পনা ও মাস্টার প্লান অনুসারে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

স্বাগত বক্তব্যে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, এখন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ কোটি টাকা বা তার বেশি প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত প্রকল্পের জন্য অবশ্যই ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হবে এবং ৫০ কোটি টাকার বা তার বেশি প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত প্রকল্পের জন্য সরকারের বিধি মোতাবেক পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করতে হবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই