বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘আল্লায় অহন একটা ব্যবস্থা করছে’

‘আল্লায় অহন একটা ব্যবস্থা করছে’

‘কাজ কাম নাই। ঘর থ্যাইক্কা বাহির হইতে পারি না। কী খামু, কার কাছে যামু, কোথায় পামু, এনিয়া খুবই চিন্তায় আছিলাম। আল্লায় অহন একটা ব্যবস্থা করছে। আমগরে জন্য খুব ভালো হইছে।’ কথাগুলো বলছিলেন শেরপুর সদর উপজেলার শেখহাটি এলাকার হত দরিদ্র আলফাজ আলী। 

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে শেরপুর অঘোষিত লকডাউন অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লোকসমাগম বন্ধ থাকায় নিম্নআয়ের মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আর আলফাজের মত খেটে খাওয়া হাজারো মানুষ খাদ্যাভাবে পড়েছেন। 

রোববার সকালে সরকারের তরফ থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে চাল, ডাল, আটা, লবণ, তেল ও সাবানসহ বিভিন্ন ধরণের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুশি আলফাজ। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। 

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে শেরপুর জেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল ও ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। 

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে দুই দফায় ওই বরাদ্দ পাওয়া যায়। এখন কর্মহীন মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাচ্ছেন ইউএনও। এলাকায় এলাকায় গিয়ে কর্মহীন দরিদ্র-অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। 

রোববার দিনব্যাপী ডিসি আনার কলি মাহবুবসহ জেলার পাঁচ উপজেলার ইউএনও এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এর আগে শনিবার কিছু এলাকায় ওইসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে দুই দফায় ২০০ মে. টন চাল ও ৯ লাখ টাকা দিয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে জেলার ৫টি উপজেলায় ১১১ মে. টন চাল ও ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুর্যোগ ও ত্রাণ  এ বরাদ্দ দেয়। 

শনিবার বিকেল থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান শুরু করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় সংশ্লিষ্ট ইউএনও ছাড়াও পিআইও, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

এডিসি (সার্বিক) এবিএম এহসানুল মামুন জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও গৃহে অবস্থান নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী টহল শুরু করেছে। জনস্বার্থে এ টহল অব্যাহত থাকবে। 

সদরের ইউএনও ফিরোজ আল মামুন জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আটা, লবণ, তেল ও সাবান বিতরণ করা হয়েছে। 

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লোকসমাগম বন্ধ থাকায় নিম্নআয়ের মানুষজন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্র মানুষের মাঝে এসব খাদ্য বিতরণ শুরু করেছি। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। 

অন্যদিকে করোনা আতঙ্কে ঘরে অবস্থানকারী পৌর এলাকার দুস্থ-অসহায় মানুষদের বাড়ি বাড়ি চাল-ডালসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন। 

মেয়র লিটন বলেন, যারা দিন আনে দিন খায় এবং দিনমজুর তাদের বাড়িতে বাড়িতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে সীমিত আকারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রতি ওয়ার্ডে ৫০ জন করে মানুষের ঘরে এ খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি অনুদান পেলে এর পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান তিনি। 

এছাড়া করোনাভাইরাস থেকে সচেতন থাকতে স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করে সঠিক তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের এবং যারা গত দুই-তিন দিনের মধ্যে ঢাকা থেকে শেরপুর এসে অবস্থান করছেন তাদের তথ্য চান মেয়র লিটন। 

এছাড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে, জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগতভাবে এবং কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র পরিসরে নিন্মআয়ের কর্মহীন মানুষের সহায়তায় খাদ্যসামগ্রী ও বিভিন্ন সেবা নিয়ে এগিয়ে আসার সংবাদও পাওয়া যাচ্ছে।   

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর