২০১৩-১৪ সালের ন্যায় সরকার পতনে আবারও নাশকতার পথ বেছে নিচ্ছে বিএনপি। পেট্টোল বোমা ও ককটেল হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পায়তারা করছে তারা।
গত ২৯ অক্টোবর রাতে সিরাজগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ককটেল বোমা হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। একই দিন রাতে সদর থানা আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ বেলাল হোসেনের বাড়ীতে পেট্টোল বোমা হামলা চালানো হয়। এসব ঘটনার তিনদিন পরে ২ নভেম্বর রাতে সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের গ্রাম আদালত কক্ষে পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে গ্রাম আদালতের বিভিন্ন কাগজপত্র ও চেয়ার টেবিল পুড়ে যায়। এসব ঘটনা তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিএনপি-জামায়াতের প্রায় আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে উল্লাপাড়া ও তাড়াশে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতামূলক কর্মকান্ড রুখে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ বিএনপি-জামায়াত কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ৭ নভেম্বর বুধবার রাতে তাদের আটক করা হয়।
তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গভীর রাতে তাড়াশ পৌরসভায় যুবদলের ভাড়া করা অফিসে নেতাকর্মীরা নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতা মাসুম ও আনোয়ারকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২টি পেট্রোল বোমা ও চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
উল্লাপাড়া থানার ওসি দেওয়ান কওশিক আহম্মেদ জানান, রাতে বাখুয়া প্রাইমারি স্কুল মাঠে বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মী। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও আব্দুর রাউব, আরিফুল ও হোসেন আলী নামে জামায়াতের তিন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
বিএনপি-জামায়াতের এসকল কর্মকান্ডে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন করে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ