দুই পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ বিয়ে করেছেন এমন গুঞ্জন বেশ কয়েকদিন ধরেই উড়ে বেড়াচ্ছিল শোবিজের বাতাসে। তবে এ নিয়ে মুখ খোলেননি এই অভিনেত্রী।
অবশেষে সব গুঞ্জন উড়িয়ে জানা গেল সত্যিই বিয়ে করছেন অপর্ণা ঘোষ। ৭ ডিসেম্বর সোমবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একটি রেস্তোরাঁয় পারিবারিকভাবে প্রিয় মানুষের সঙ্গে বাগদান সারেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সাতপাকে বাঁধা পড়বেন অপর্ণা ঘোষ। তার হবু বরের নাম সত্রাজিৎ দত্ত। আগ্রাবাদের একটি মন্দিরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন অপর্ণা ঘোষ।
করোনা সংকটের মধ্যে এক বন্ধুর মাধ্যমে সত্রাজিতের সঙ্গে অপর্ণার পরিচয়। তারপর দুজনের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন হয়। চলতে থাকে কথোপকথন। সময়ের সঙ্গে পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভালো লাগা তৈরি হয়। পরে জানতে পারেন, সত্রাজিতের বাবা অপর্ণার বাবার ভালো বন্ধু। এরপর দুই পরিবার মিলে বিয়ের কথা পাকা করেন। আগামী মে মাসে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তখন শোবিজ অঙ্গনের বন্ধু-সহকর্মীদের আমন্ত্রণ জানাবেন বলে জানান অপর্ণা ঘোষ।
জানা যায়, অপর্ণার হবু বর সত্রাজিৎ দত্ত পেশায় আইটি ইঞ্জিনিয়ার। জাপানের এয়ারবাসে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
অপর্ণা ঘোষের জন্ম চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে। শৈশব কেটেছে রাঙামাটি ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে চট্টগ্রামে। স্কুলের পাঠ শেষ হওয়ার পর নাটকের দল নান্দিকারে যোগ দেন তিনি। তার বাবার হাতে গড়া দলের মহড়া প্রায় সময়ই নিজেদের বাসায় হতো। ২০০৩ সালে অপর্ণা প্রথম মঞ্চ অভিনয় করেন। এস এম সোলায়মানের ‘কোর্ট মার্শাল’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন তিনি।
২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই অপর্ণা নাম লেখান ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায়। এতে সেরা দশে নিজের জায়গা করে নেন তিনি। তারপর ঢাকা-চট্টগ্রাম যাওয়া-আসার মধ্যে তার সময় কাটতে থাকে। পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনচিত্র, টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন তিনি।
২০০৯ সালে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন অপর্ণা ঘোষ। তারপর চার বছর বিরতি নিয়ে গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘মৃত্তিকা মায়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। অপর্ণা ঘোষ অভিনীত উল্লেযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’, ‘মেঘমল্লার’, ‘সুতপার ঠিকানা’, ‘লিলিথ’ প্রভৃতি।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
